শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

ইতিহাস বিকৃতিকারী কাকে রেখে কার বিচার করব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারী কাকে রেখে কার বিচার করবেন- জাতীয় সংসদে এ প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পালটা এ প্রশ্ন করেন। জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান সম্পূরক প্রশ্নে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনতে নতুন করে কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে কিনা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ’৭৫ সালের পর বিকৃতি শুরু হয়। জাতির পিতাকে হত্যাকারী ও ক্ষমতা দখলকারীরা এই বিকৃতি শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে তা ২১ বছর ধরে চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষকে সেই বিকৃত ইতিহাস থেকে মুক্তি দেয়। আজ বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল উদ্ভাসিত নয়, দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্ম এই ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস এখন বিকৃতি করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ তা করতেও পারবে না। এট সম্ভবও নয়।

তিনি বলেন, ইতিহাস যারা বিকৃত করেছে- আমি যদি ঠিক ’৯৬ সালের আগে যাই, তাহলে কাকে রেখে কার বিচার করব। এটাই হলো বাস্তবতা। আমি দেখি, ’৭৫ সালের পর যারাই ছিলেন, এমনকি যারা সত্য কথাটাও জানতেন, তারাও মিথ্যার ওপর আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকা- পুরোনো দিকটায় তাকালে কেউই বাদ যাননি। খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষ এর প্রতিবাদ করেছেন বা সঠিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। এদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কাকে বিচারের আওতায় আনব, এটা একটা বড় প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে, ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে, তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। কত জঘন্য কাজ তারা করে গেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর