গাইবান্ধার ফুলছড়িতে অস্ত্র মামলার পলাতক আসামিকে এলাকাবাসী মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার একটি অস্ত্র মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মো. সাদেক আলী (৩৫) কে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে মামলার বাদীপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে, যখন সাদেক আলী তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদীপক্ষের অন্তত ১৪ জন ব্যক্তি-যাদের মধ্যে আব্দুর রহিম ডাকাত (৪০), আমার সোনামিয়া (৩৮), হাসেন ডাকাত (৩৫), আব্দুল মজিদ ডাকাত (৪০), সুমন (২২), জসমত ডাকাত (২৮), মাসুম ডাকাতসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন-সাদেক আলীর ফুফুর বাড়িতে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। অচেতন অবস্থায় তাকে ফুলছড়ি থানা হয়। * কাছে সোপর্দ করেন।
উল্লেখযোগ্য যে, এই ১৪ জনের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফুলছড়ি, সারিয়াকান্দি, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, উলিপুর, রৌমারী ও রাজীবপুর থানায় চুরি, ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে ১০ থেকে ১৫টি করে মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে ২৮ তারিখে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাইফুল ইসলাম (৩২), পিতা মোহাম্মদ আলী, মরিচের জমিতে পানি নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে, হাত ভেঙে দেয় এবং সাইফুল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়লে বাদি গ্রুপের লোকজন নিজেদের সংগৃহীত দেশীয় অস্ত্র গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে ফুলছড়ি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একজন নির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ আটজনকে আসামি করে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, ধরে নিলাম একজন ধরা পড়েছে অস্ত্রসহ, অথচ মামলা হয়েছে আটজনকে আসামি করা হলো আমি তখন ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম ! তাও আবার সেই মামলার আসামিদের একটি গোষ্ঠী শত্রুতার বশর্ক বেঁধে রেখে পুলিশে দিচ্ছে আর বারবার মারধর করছে,
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার প্রশ্ন-তাহলে পুলিশ কি করছে? পুলিশের দায়িত্ব কি নিরপেক্ষ তদন্ত করা, না কি যারা বেশি প্রভাবশালী তাদের হাতের ক্রীড়ানক হওয়া? আসামিদের উপর বারবার হামলা হচ্ছে, তারা মার খাচ্ছে, অপমানিত হচ্ছে-এটা কি আইনের শাসনের প্রতিচ্ছবি? নাকি এক পক্ষের হয়ে অন্য পক্ষকে দমন করার অপচেষ্টা?
স্থানীয়রা ন্যায়বিচার ও পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা কামনা করছেন। তাদের দাবি, অন্যায়ভাবে মানুষকে হেনস্থা করে যারা ক্ষমতা দেখাচ্ছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।