রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি উপজেলাসহ কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ ধরা ও শিকার করা নিষিদ্ধ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক নেপালে স্বর্ণের খোঁজে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল গাজার উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ই স রা ইলি বিমান হাম লা য় ২৫ জন নি হ ত হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জুনেই চলবে ট্রেন

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩

আগামী জুন মাসে আখাউড়া–আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। এই রেলপথের স্লিপার, রেললাইনসহ দরকারি সব সরঞ্জাম বসানোর কাজ চলছে। মাটির কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। এপ্রিল–মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়ে পুরোদমে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। জুনের মধ্যে আখাউড়া–আগরতলা ও আখাউড়া–লাকসাম ডুয়েল গেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আখাউড়া–আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। এই রুটে রেল যোগাযোগ চালু হলে ব্যবসা–বাণিজ্য প্রসারিত হবে, উভয় দেশের নাগরিকেরা উপকৃত হবেন। আখাউড়া থেকে লাকসাম হয়ে চট্টগ্রামে রেলপথ রয়েছে। আখাউড়া থেকে ঢাকাও রেলপথ রয়েছে। এখন আখাউড়া–আগরতলা রেলপথ চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেনারবাহী ট্রেন যাবে আগরতলা–ত্রিপুরা। একই সাথে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল শুরু হবে। অপরদিকে ঢাকা থেকেও যাত্রীবাহী ট্রেন যাবে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার সাথে আগরতলা–ত্রিপুরার ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রসার ঘাটবে। এতে করে দুই দেশ উপকৃত হবে।

প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের সময় চার দফা বাড়ানো হয়। করোনার কারণে দুই দফা কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। করোনা শেষ হওয়ার পর রেলপথ নির্মাণের কাজ পুরোদমে শুরু হলে রেলপথের স্লিপার, রেললাইনসহ দরকারি সব সরঞ্জাম আমদানি শুরু হয়। এখন শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় পুরোদমে কাজ চলছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেছে। অ্যাপ্রোচিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ত্রিপুরার অংশে পড়েছে সাড়ে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ১০ কিলোমিটার। ভারতের আগরতলা অংশের সাড়ে ৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের অর্থ দিচ্ছে ভারতীয় রেল এবং বাংলাদেশের অংশের রেলপথ নির্মাণের অর্থ দিচ্ছে ভারত সরকার।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ‘আখাউড়া–আগরতলা ও আখাউড়া–লাকসাম রেললাইন প্রকল্প’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২০২৩ সালের জুনে এই রুটে ট্রেন চলাচল করবে। সেই টার্গেট নিয়ে এখন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে বলে প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর