নিম্ন আয়ের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবির পাঁচ পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ। রাজধানীর ধানমন্ডি লেক এলাকায় স্থানীয় কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে সকালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সারা দেশে চলবে এ কার্যক্রম। এর আওতায় কার্ডধারীরা নির্ধারিত পরিমাণে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও চিনি কিনতে পারবেন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি এ তথ্য জানিয়েছে।

এ দফায় পরিবার কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল ও পেঁয়াজ এবং এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০, মসুর ডাল ৬০, পেঁয়াজ ৩৫ ও চিনি ৭০ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে শুধু ঢাকা নগরীতে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া চিনিও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ এ দফায় পেঁয়াজ ও চিনি সীমিত পরিসরে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

টিসিবি জানিয়েছে, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য এক মাস বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পরিবার কার্ডধারীরা পণ্য কিনতে পারবেন। পরিবার কার্ডের আওতায় গত জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো চাল বিক্রি শুরু করে টিসিবি।

দেশে গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা গত সাড়ে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্যপণ্য কিনতে মানুষকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক পরিমাণে খরচ করতে হচ্ছে। এতে অস্বস্তিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সার্বিকভাবে টিসিবির এ কার্যক্রম নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।