রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

ডাকঘর সঞ্চয়ের সব হিসাব ডিজিটাল হচ্ছে

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবের ম্যানুয়াল পদ্ধতি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে সাধারণ হিসাব ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে খোলা যাবে না। নতুন সব সঞ্চয় হিসাব হচ্ছে ডিজিটাল। বর্তমানে পরিচালিত ম্যানুয়াল হিসাব ২০২৪ সালের জুনের পর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগে এসব হিসাব ডিজিটাল না করলে আর মুনাফা মিলবে না। সমপ্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে।

সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক স্কিমের আওতায় সাধারণ ও মেয়াদি হিসাব এবং ডাক জীবন বীমা হিসাব খোলা যায়। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়াদি হিসাব অনলাইনের আওতায় এসেছে। তবে সাধারণ হিসাব পরিচালিত হয় আগের নিয়মে। এতে করে একই ব্যক্তি একাধিক অফিস থেকে সীমার বেশি বিনিয়োগ করলেও তা ধরা বেশ কঠিন। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে সাধারণ ও মেয়াদি উভয় হিসাবে একক নামে সর্বোচ্চ ১০ লাখ এবং যৌথ নামে ২০ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ করা যায়। সাধারণ হিসাবে সুদহার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এক মাস বা তার বেশি মেয়াদে টাকা রাখলে এ হারে সুদ দেওয়া হয়। এছাড়া, এক, দুই ও তিন বছর মেয়াদি হিসাব খোলা যায়। এ ক্ষেত্রে সুদহার তুলনামূলক বেশি।

সূত্র জানায়, ডাকঘর সাধারণ ও মেয়াদি হিসাবে বিনিয়োগ দ্রুত কমছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সাধারণ হিসাবে নতুন করে মাত্র ২৮৫ কোটি টাকা জমার বিপরীতে ভাঙানো হয়েছে ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এর মানে নিট বিনিয়োগ কমেছে ১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর মেয়াদি হিসাবে ২ হাজার ১৮১ কোটি টাকা জমার বিপরীতে ভাঙানো হয়েছে ৯ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। নিট বিনিয়োগ কমেছে ৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের বাইরে বর্তমানে পরিবার, পেনশনার, তিন মাস অন্তর মুনাফা এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র রয়েছে। যে অফিস থেকেই এসব সঞ্চয়পত্র কেনা হোক, অনলাইনে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি হয়। এর ফলে মিথ্যা ঘোষণায় সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। বর্তমানে ব্যাংক, সঞ্চয় ব্যুরো ও ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বেচাকেনা হয়। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর