তাড়াশে শিক্ষক-ছাত্রীদের হুমকির প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিঘীসদগুনা মডার্ন একাডেমিক রুরাল জুনিয়র গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বহিরাগত লোকজন নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক-ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানী, লাঞ্ছনা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকদের নিয়ে অশ্লিল ভাষায় গালাগালি, লাঞ্ছনা, হুমকি প্রতিবাদে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান।
তাড়াশ মহিলা কলেজের প্রভাষক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় অন্যন্যেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সগুনা ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টু, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম আরজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী, প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আব্দুর রশীদ মাহমুদ বকুল, লালুয়া মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি সামসুল ইসলাম সূর্য, দলিল লেখক ফেরদৌস জামান বাচ্চু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার আব্দুল হাই, দিঘীসদগুনা মডার্ন একাডেমিক রুরাল জুনিয়র গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম, শিক্ষক রতœ খাতুন, রাজিয়া সুলতানা, আয়া আনেছা বেগম, দপ্তরি ইউনুস আলী, ছাত্রী অভিভাবক শরিফুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, শফিকুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা জহুরুল ইসলাম, সাংবাদিক লুৎফর রহমান, সাব্বির মির্জা প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর মো. শহিদুল ইসলাম অশ্লিল ভাষায় গালাগালি জোড়পূর্বক বিদ্যালয়ের সাদা প্যাডে এবং বানানো হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে কক্ষ থেকে মো. আব্দুল হাকিম প্রধান শিক্ষককে বের করে অফিস তালাবদ্ধ করে রাখেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ আছে। এ দিকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কিন্তু এমন অবস্থায় থাকলে ছাত্রীদের জন্য অনেক ক্ষতি হবে বলে দাবী অভিভাকদের।