নাটকীয় জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল পাকিস্তান

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আফগানিস্তানকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ফাইনাল খেলতে আর কোনো বাধা রইল না বাবর আজমদের। পাকিস্তানের এই জয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল ভারত।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল মাত্র ২৫ রান। সেখান থেকে ফজল হক ফারুকি ও ফরীদ আহমেদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে জয় দেখতে পাচ্ছিল আফগানরা। তবে না, এবারের এশিয়া কাপে নাটকীয়তা নিত্যসঙ্গী, বোলার নাসিম শাহর নৈপুণ্যে শেষ ওভারে ১১ রান নিয়ে ১ উইকেটে জিতে গেল পাকিস্তান।
এদিন শারজাহ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে জবাব দিতে নেমে শুরুতেই রশিদ খান ও ফারুকির তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। মাত্র ১৮ রানের ভেতর ফিরে যান বাবর ও ফখর জামান। পাক অধিনায়ককে প্রথম বলেই বিদায় করেন ফারুকি। রান আউটে কাটা পড়েন ফখর।
রিজওয়ানকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইফতিখার আহমেদ কিন্তু বিধি বাম। অভিজ্ঞ রশিদ এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পাক উইকেটরক্ষককে।
ইফতেখারকে যোগ্য সঙ্গটা দেন শাদাব খান। তারা দু’জনে গড়েন ৪২ রানের জুটি। তবে ধীরগতিতে উইলো চালিয়ে দলের বিপদ বাড়ান ইফতেখার। ফরীদ আহমেদের শিকার হবার আগে ৩৩ বলে করেন ৩০ রান।
এরপর ক্রিজে আসেন গত ম্যাচের নায়ক মোহাম্মদ নওয়াজ। আজ দলের ত্রাতা হতে পারেননি তিনি, ফিরে যান মাত্র ৪ রান করে। এরপর আবারও ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ করতে না করতেই ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
শাদাবকে তুলে নিয়ে ফিরে আসার সূচনা করে আফগানরা। আউট হওয়ার আগে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার খেলেন ৩৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস। ১৮তম ওভারে ২ উইকেট নিয়ে আফগানদের স্বপ্নের পালে জোর হাওয়া দেন ফারুকি।
তবে ছক্কা বিশেষজ্ঞ আসিফ আলি ফরীদকে ছয় মেরে কাঁপুনি ধরান রশীদ-নবীদের বুকে। পরের বলেই দারণভাবে ফিরে আসেন ফরীদ, বাউন্সারে টপ এজের ফাঁদে পড়েন আসিফ। এরপর পুরো গল্পটা লেখেন নাসিম।
এর আগে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে মোহাম্মদ নবীর দল। তবে বাবর আজমের দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৯ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
প্রথম তিন ওভারেই বিনা উইকেটে ২৭ রান তুলে পাক বোলারদের কঠোর বার্তা দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। তবে পাওয়ার প্লের শেষদিকে দুই ওপেনারকেই সাজঘরে ফেরান পাকিস্তানের পেসাররা। ষষ্ঠ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ৪৯।
চতুর্থ ওভারে গুরবাজকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান পেসার হারিস রউফ। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার জাজাইকে একই পথ দেখান মোহাম্মদ হাসনাইন।
মাঝের ওভারগুলোতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নবীর দল। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। এদিকে পাকিস্তানের পাঁচ বোলারের প্রত্যেকেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা।