রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি উপজেলাসহ কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ ধরা ও শিকার করা নিষিদ্ধ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক নেপালে স্বর্ণের খোঁজে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল গাজার উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ই স রা ইলি বিমান হাম লা য় ২৫ জন নি হ ত হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাংলা বর্ষবরণের আনন্দে শামিল বিদেশীরাও

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

নতুন বঙ্গাব্দে শান্তিময় পৃথিবীর প্রত্যাশায় দেশজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে হরেক রকম অনুষ্ঠান। যার সর্বাগ্রে রয়েছে রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার তীব্র দাবদাহের মাঝেও বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন হাজার হাজার বাঙালি। তাদের সঙ্গে আনন্দে শামিল হয়েছেন বিদেশীরাও।

রাজধানীতে বিভিন্ন উপলক্ষে বসবাসকারী এই ভিনদেশীরা এদিন সেজেছেন বাঙালিয়ানা সাজে। তাদের পোশাকে ছিল বৈশাখী উৎসবে প্রতিনিধিত্বকারী রং ও স্থানীয় মোটিফ। নারীদের কারো মাথায় দেখা গেছে ফুলের বর্ণিল মুকুট। পুরুষরা মাথায় পড়েছেন স্কার্ফ। কেউ কেউ মুখে এঁকেছেন নকশা। বয়স্কদের পাশাপাশি বঙ্গাব্দ বরণে পিছিয়ে নেই বিদেশী শিশুরাও। তাদের বৈশাখের রঙ্গে রাঙ্গিয়েছেন অভিভাবকরা।

সুইজারল্যান্ড থেকে আসা এক বিদেশী বলেন, বর্ষবরণ অনেক বর্ণিল একটি আয়োজন। আমি এখানে অংশগ্রহণ করে সত্যিই আনন্দিত। সবচেয়ে যে বিষয়টি ভালো লেগেছে সেটি হলো নারী-পুরুষ সবাই একসঙ্গে আনন্দ উদযাপন করছে।

পরিবারসহ নরওয়ে থাকা আসা লুন্ড ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলেন, ‘আমি একটু একটু বাংলা জানি। আমরা বাঙালি কালচার ভালোবাসি। বাঙালিরা খুবই মিশুক। এখানের খাবার অনেক মজা।  আজ এখানে অনেক রঙ, অনেক ফুল, অনেক মানুষের সম্মিলন। আমি এখানে আসতে পেরে অনেক খুশি।’

আজ সকাল ৯টার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ মোড় ঘুরে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে।

শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। এবারের শোভাযাত্রায় স্থান পেয়েছে পাঁচটি মোটিফ- টেপা পুতুল, ময়ুর, নীল গাই, হাতি ও বাঘ। এছাড়া শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন আকৃতির মুখোশ।

অন্যদিকে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে রমনার বটমূলে শুরু ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নেন সংগঠনের শতাধিক শিল্পী। এদিকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনা উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান জোরদার করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর