বাবুলের পরকীয়া জেনে যাওয়ায় ‘খুনি’ ভাড়া করে মিতুকে হত্যা!

একজন বিদেশি নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে কলহের কারণে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করে স্ত্রী মিতুকে খুন করান এসপি বাবুল আক্তার। তিনিই এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। নিজেকে আড়াল করতে প্রচার করেন জঙ্গি হামলা হিসেবে। মিতু হত্যা মামলায় প্রস্তুত হওয়া পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে। যা আদালতে জমা দেওয়া হবে শিগগিরই।
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলায় করা হয়েছে। বাকি ছয় আসামি হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা সিকদার, সাবেক যুবলীগ নেতা এহতেশামুল হক ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।
পিবিআইপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ। অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে আদালতে দাখিল করতে আরও কয়েক দিন লাগবে।
হত্যার কারণ হিসেবে বলা হয়, বিদেশি নাগরিক গায়েত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে বাবুলের পরকীয়া সর্ম্পক ছিল। যার বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পায় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে যান মিতু। যা নিয়ে সৃষ্টি হয় পারিবারিক কলহ। এ কারণে মিতুকে খুন করান বাবুল।
অভিযোগপত্রে কোনো ত্রুটি নেই, বাধা নেই আদালতে দাখিলে, এমন মত রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলির।
অভিযোগপত্রে সাক্ষী থাকছে ৯৭ জন। এতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি আছে তিনজনের। বাবুল আক্তারসহ চারজন আছেন কারাগারে। জামিনে আছে ভোলা। হদিস মেলেনি মুসা ও কালুর। ২০১৬ সালের পাঁচ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে খুন হন মাহমুদা মিতু।