ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধ ও মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, ভাঙচুর ১২ বাড়িতে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাস্থ নাটাই ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পূর্ব বিরোধ এবং মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চান্দের গোষ্ঠী ও সলিম গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (১২ মে) রাত ৯টার দিকে ছলিম বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়ির এক বাড়িতে ইয়াবা সেবনের জন্য প্রবেশ করলে চান্দের গোষ্ঠীর লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির পর রাতেই দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরদিন সকালে পূর্ব উত্তেজনার জেরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভয় পক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হন এবং ১০-১২টি বাড়িঘর ভাঙচুরের শিকার হয়।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম সাঈম অভিযোগ করে জানান, গতরাতে কালাইশ্রীপাড়ার ব্যবসায়ী আনার হোসেনকে চান্দের বাড়ির লোকজন ব্যবসার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে আহত করে ফেলে রাখে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার প্রতিবেশীদের ওপরও হামলা হয়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, “দীর্ঘদিনের পারিবারিক ও গোষ্ঠীগত বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”