রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মাধবপুরে ২৬ বোতল ভারতীয় মদসহ দুই যুবক আটক এনসিপি এখন আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে হাত মিলিয়েছে: মুরাদনগরে জনসভায় কায়কোবাদ এনসিপি এখন আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে হাত মিলিয়েছে: মুরাদনগরে জনসভায় কায়কোবাদ শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা

মৌলভিত্তির শেয়ারে মার্জিন ঋণের নীতিমালা শিথিল

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩

শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে অপেক্ষাকৃত ভালো মৌলভিত্তির এবং বড় মূলধনি কোম্পানির ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ নীতিমালা শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যেসব কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ তিন বছর ধরে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে এবং এসব কোম্পানির মধ্যে যাদের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি, তাদের মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৫০ পর্যন্ত থাকলে মার্জিন ঋণযোগ্য সিকিউরিটিজ হিসেবে বিবেচিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসি এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। কোনো কোম্পানির সর্বশেষ শেয়ারপ্রতি মুনাফা বা ইপিএস দিয়ে সর্বশেষ বাজারদরকে ভাগ করে পিই অনুপাত বের করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট বছরে অন্তত ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটাগরি হিসেবে বিবেচিত হয়। গতকালের কমিশনের জারি করা নির্দেশনার কারণে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত আরও তিন কোম্পানির শেয়ার মার্জিন ঋণযোগ্য শেয়ার হতে যাচ্ছে। শেয়ার তিনটি হলো– ডরিন পাওয়ার, আমান কটন ফাইব্রস এবং আমান ফিড।

বিএসইসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানির পিই রেশিও ৪০-এর বেশি, সেগুলোর শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে স্টক ব্রোকাররা তাঁদের গ্রাহকদের কোনো মার্জিন ঋণ সুবিধা দিতে পারবেন না। অর্থাৎ পিই রেশিও ৪০-এর কম থাকা অবস্থায় ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত সব শেয়ার মার্জিন ঋণযোগ্য শেয়ার হিসেবে থাকছে। এ নিয়ম ২০১০ সাল থেকে বহাল আছে। আগে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী জেড ক্যাটাগরিভুক্ত শেয়ার মার্জিন ঋণযোগ্য নয়। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ার প্রথম ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত এবং ‘ জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ বা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হওয়ার পর প্রথম সাত কার্যদিবস পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শেয়ার মার্জিন ঋণের যোগ্য হয় না। তবে সব মিউচুয়াল ফান্ড, করপোরেট বন্ড এবং জীবন বীমা কোম্পানির সব শেয়ার মার্জিন ঋণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

টানা তিন বছর এ ক্যাটাগরিভুক্ত বড় মূলধনি কোম্পানির ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ নীতিমালা শিথিল করার কারণ জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম সমকালকে বলেন, বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিশন লক্ষ্য করেছে, ভালো মৌল ভিত্তির অনেক শেয়ারও কম লেনদেন হচ্ছে। এ নীতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ভালো শেয়ারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে লেনদেন কিছুটা বাড়বে বলে আশা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ আরও কিছু যৌক্তিক কারণে ভালো কিছু কোম্পানিরও মুনাফা কমেছে। এর ফলে কোম্পানিগুলোর পিই রেশিও বেড়ে গেছে। এ বিষয়টি মার্জিন ঋণ নীতিমালা শিথিল করার বড় কারণ। এ বিষয়ে কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তা ও বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানেরও অনুরোধ ছিল।

বিএসইসির মুখপাত্র আরও বলেন, মার্জিন ঋণ অযোগ্য হয়ে কোনো শেয়ারের জোরপূর্বক বিক্রি ঠোকনোর জন্য এ শিথিলতা। বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কমিশন মনে করে, এখানে তারল্য বাড়ানো প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল থেকে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ঋণ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে যেসব কোম্পানি টানা তিন বছর এ ক্যাটাগরিতে নেই, সেগুলো এ নীতির আওতায় পড়বে না।

মঙ্গলবার ডিএসইর প্রকাশিত সর্বশেষ মার্জিন ঋণযোগ্য শেয়ার ছিল ১৮৬টি। এর সঙ্গে নতুন তিনটি যুক্ত হয়ে সংখ্যাটি বেড়ে ১৮৯টিতে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ার ৩৫৫টি। এর বাইরে ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১০ করপোরেট বন্ড মার্জিন ঋণযোগ্য সিকিউরিটিজ।

বাজার সংক্ষেপ

এদিকে ঈদের ছুটির আগের শেষ কার্যদিবসে গতকাল ডিএসইর লেনদেন প্রায় ১১৫ কোটি টাকা বেড়ে ৫৫৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তাছাড়া ফ্লোর প্রাইসের ওপরে থাকা বেশ কিছু শেয়ারের দামও বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৩১১ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৪টির এবং ১৯৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল। তবে ক্রেতার অভাবে ৮১টির কোনো লেনদেন হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর