রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

যুদ্ধের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তুলতে শিল্পীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ ধরনের যুদ্ধ যাতে না হয় সে বিষয়ে শিল্পীদের ভূমিকা রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ, ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলতে শিল্পীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনা মহামারী এবং আরেক দিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ; যেটা আসলে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আমি জানি, মানুষের দুঃখ এবং যুদ্ধের ভয়াবহতা শিল্পীর আঁচরে উঠে আসবে। যাতে করে এ ধরনের যুদ্ধ যাতে না হয়, পৃথিবীর মানুষ যেন শান্তিতে বাস করতে পারে, মানুষের জীবনমান যাতে উন্নত হয়, সেটাই আমরা চাই।

সরকারপ্রধান বলেন, শিল্প-সংস্কৃতি যে কোনো জাতির আত্মপরিচয় বহন করে। শিল্পীর তুলির আঁচরেই উঠে আসে একটি দেশ ও জাতির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। মানুষের চেতনাকে ঋদ্ধ করে।

‘আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের সংগ্রামও প্রাণ পেয়েছিল শিল্পীর আঁচরে। আমাদের শিল্পীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে।’

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পরে একুশ বছর পর আমরা সরকার গঠন করার সুযোগ পাই। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে শিল্পকলা একাডেমি যাতে আরও সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে তার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করি। সেখানে জাতীয় নাট্যশালা, এক্সপেরিমেন্টাল স্টুডিও থিয়েটার, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, চারুকলা মিলনায়তন, নন্দন ও উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।

৬৪ জেলায় শিল্পকলা একাডেমির নতুন ভবন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪৯৩টি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। আমরা সংস্কৃতির সেবা একেবারে তৃণমূলের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই। একদিকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি, পাশাপাশি শিল্পী মনের বিকাশ যাতে হয় সে পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।

১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের শিল্পীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশসহ ১১৪ দেশের ৪৯৩ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এই প্রদর্শনী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর