শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বস্তিতে দেশ

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩

আজ সোমবার বিশ্ব খাদ্য দিবস। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উদ্যোগে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচিতে পালন করা হচ্ছে দিবসটি। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পানি জীবন, পানিই খাদ্য। কেউ থাকবে না পিছিয়ে।’

রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে সকাল ১০টায় বিশ্ব খাদ্য দিবসের মূল অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রধান অতিথি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। দুপুরে বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে খাদ্য উৎপাদনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে।  ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার দেশের কৃষির উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে নানাবিধ যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কৃষি গবেষণা-সম্প্রসারণে কার্যকর সংযোগ স্থাপন, ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ কৃষকের কাছে সহজলভ্য করা এবং কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানো, ফসলের নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। ফলে কৃষি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়। আধুনিক, লাভজনক ও যান্ত্রিক কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রবর্তনের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।

খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে যেখানে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল তিন কোটি ২৮ লক্ষ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে চার কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ফসলের উৎপাদনেও ধারাবাহিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ১৫ বছরে ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৯ গুণ, আলু দুই গুণ, ডাল চার গুণ, তেলবীজ দুই দশমিক পাঁচ গুণ ও সবজি আট গুণ। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের কৃষির সাফল্য বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। বাংলাদেশের ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম।

২০০৮-০৯ সালে চালের উৎপাদন ছিল তিন কোটি ১৩ লাখ টন যা ২০২২-২৩ সালে চার কোটি টনেরও বেশিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে গমের উৎপাদন ছিল আট লাখ ৪৯ হাজার টন, ২০২২-২৩ সালে ১১ লাখ ৭০ হাজার টন, ভুট্টা ছিল সাত লাখ টন যা এখন ৬৪ লাখ টন, আলু পাঁচ লাখ টন থেকে বেড়ে হয়েছে এক কোটি চার লাখ টন, সবজি ৩০ লাখ টন থেকে বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ টন।

১৫ বছরে বৈরি পরিবেশ সহনশীল জাতসহ মোট ৬৯৯টি উন্নত বা উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবন ও ৭০৮টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে ধানের জাত ৮০টি।

বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার কয়েক দফায় সারের মূল্য কমিয়ে ও সমন্বয় করে টিএসপি ৮০ টাকা থেকে ২৭ টাকা, ডিএপি ৯০ টাকা থেকে ২১ টাকা এবং এমওপি ৭০ টাকা থেকে ২০ টাকা করেছে। এ ছাড়া ভর্তুকি মূল্যে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৭ টাকা দরে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সার, বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে মোট এক লাখ ২৮ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় ছিল মাত্র পাঁচ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ ২৫ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কৃষকদের কৃষিযন্ত্রের ক্রয়মূল্যের ওপর হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০ ভাগ ও অন্যান্য এলাকায় ৫০ ভাগ উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কম্বাইন হারভেস্টর, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, রিপার, সিডার ও পাওয়ার থ্রেসারসহ প্রায় এক লাখ ৩৩ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি শ্রমিকের অপ্রতুলতা মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর