রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে ফ্যাসিবাদের আশঙ্কা : শ্যামল গাইবান্ধায় চেম্বার অব কামার্সের কমিটির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ গ্রহণ নাসিরনগরে তিতাস নদীতে ডুবে আপন দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু চাটমোহরে বড়াল নদীর কচুরিপানার উপর থেকে ভাসমান অবস্থায় ৫ মাস বয়সি শিশুর মরদেহ উদ্ধার পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডঃ নূরুল হুদা ঢাকায় আটক ইসরাইলি হামলায় লেবাননে নিহত ১  সরিষাবাড়ির ঐতিহ্যবাহী আর ইউটি কলেজ জাতীয়করণের দাবি চুনারুঘাটে কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ফের ২২ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করল বিএসএফ জাপান সফর শেষে দেশের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা

শ্রীলঙ্কার সাবেক দুই মন্ত্রীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
শ্রীলঙ্কার সাবেক দুই মন্ত্রীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

শ্রীলঙ্কার আদালত বৃহস্পতিবার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসে সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রীকে দুর্নীতির মামলায় যথাক্রমে ২০ ও ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

তাদের মধ্যে সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানন্দ আলুথগামাগেকে ২০ বছর এবং সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী অনিল ফার্নান্দোকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কলম্বো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

কলম্বোর হাইকোর্ট আলুথগামাগে ও ফার্নান্দোকে ৫৩ মিলিয়ন রুপি (১ লাখ ৭৭ হাজার মার্কিন ডলার) রাষ্ট্রীয় তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। 

সরকারি অর্থ অপব্যবহারের দায়ে এই দুই ব্যক্তিকে দুই হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ২০১৫ সালের নির্বাচনে গোটাবায়ের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসেকে পুনর্নির্বাচনে জয়ী করতে সরকারি তহবিলের অর্থ ব্যয় করে সমর্থকদের ১৪ হাজার ক্যারম বোর্ড এবং ১১ হাজার ড্রাফ্টস সেট (গুটি খেলার মাধ্যম) প্রদান করেন।

ছয় বছর আগে এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। রাজাপাকসে ক্ষমতায় থাকাকালে মামলার তেমন অগ্রগতি হয়নি। গত বছর নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এই মামলাটি গতি পায়।

আলুথগামাগে ২০২২ সালে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানকে কৃষি জমির সার সরবরাহে ৬.০৯ মিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদানের অনুমোদন দেন। কিন্তু সেই সার কখনো সরবরাহ করা হয়নি। এই অভিযোগে তিনি পৃথক তদন্তের মুখোমুখি হন।

আলুথগামাগে ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পক্ষে কারচুপি করার অভিযোগ এনে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। পরে এই অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আলুথগামাগে ২০২০ সালে জুনে বলেছিলেন, তিনি সেই সময়ের  ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ চক্রান্তের বিষয়টি প্রকাশ করতে চাননি।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে আমাদের জেতার কথা ছিল, কিন্তু আমরা ম্যাচটি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। আমার মনে হয়, আমি এখন এটি নিয়ে কথা বলতে পারি। আমি সব খেলোয়াড়কে জড়িত করছি না, তবে কিছু অংশ জড়িত ছিল।

শ্রীলঙ্কা মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ছয় উইকেটে হেরেছিল। ভারতীয় ও  শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা ম্যাচে অনিয়মের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন।

বাংলার সংবাদ/এস এম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর