সলঙ্গায় আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মৃত্যু বার্ষিকী পালন না করে অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের অনুমতি

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ৩৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী ছিল ২০ আগষ্ট। অথচ অর্থের বিনিময়ে সেই মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারেই সলঙ্গা সমাজ কল্যানে সমিতি হাজী ওয়াহেদ আলী মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবকদলের ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের অনুমতি দিয়েছেন সলঙ্গা সমাজ কল্যানে সমিতি ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগার কতৃপক্ষ।
এঘটনায় সলঙ্গার সচেতন মহল দু:খ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেন,মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ জাতীর ক্রান্তিকালে সকল মুক্তির আন্দোলনে সামনে থেকে জাতির অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থেকেছেন আজিবন । সংগ্রামী মানুষ ছিলেন মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ। তার নেতৃত্বে ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনে সলঙ্গা হাটে বিট্রিশ পুলিশের গুলিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লোক হতাহত হয় । তার মৃত্যু বার্ষিকী পালন না করে তারই নামে মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগার,সলঙ্গা সমাজ কল্যান সমিতির স্থানে অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসবেকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের অনুমতি দেন। এটা লজ্জা জনক।
এব্যাপারে সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শেখ মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করে নাই সেটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। এ দায় তো আমাদেরনা। আমরা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগার,সলঙ্গা সমাজ কল্যান সমিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছি অর্থের বিনিময়। জায়গার ভাড়া নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের অনুমতি দিয়েছে।
সলঙ্গা সমাজ কল্যান সমিতি ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সলঙ্গা থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ জানান, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করে নাই এটা দু:খ জনক। অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান.এ বিষয়ে পাঠাগারের সভাপতি/সম্পাদক ভাল বলতে পারবে।
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সাধারণ সম্পদাক আব্দুল হান্নান নান্নু জানান, মৃত্যু বার্ষিকী পাঠাগারে পালন করা হয়নি মসজিদে দোয়া করা হয়েছে। তবে মসজিদে দোয়া করা হয়েছে বিষয়টি জানেনা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সদস্যরা।
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সভাপতি এটিএম লুৎফর রহমান দিলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে আসার পর কারো সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করলো কিনা আমি জানিনা। আমার শরিরটা ভাল না তাই একটু রেষ্টে আছি।