শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

২০৩৬ সাল পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির করছাড়

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩

বিদ্যুৎ খাতে স্বনির্ভর হতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিভিন্ন সুযোগ দিয়েছে সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হলো কর অব্যাহতি। আগে এ সুযোগ নির্ধারিত সময়ের জন্য দেওয়া হতো। তবে, এবার নতুন-পুরোনো সবধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একযোগে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর করছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ ছাড়া করছাড় পেতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে আগামী ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্জিত আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এর আগে ২০৩৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের যেসব প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ব্যতীত) বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শুরু হবে, সেসব কোম্পানির কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবসায় অর্জিত আয়ের ওপর উৎপাদনের তারিখ থেকে ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোনো কর দেওয়া লাগবে না।

আরও বলা হয়, এ ছাড়া কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ের ওপর, বাংলাদেশে তাদের আসার দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর কর প্রযোজ্য হবে না। কোম্পানি থেকে গৃহীত বৈদেশিক ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ওপর কোনো করারোপ হবে না। কোম্পানি থেকে প্রদেয় রয়্যালটিস, টেকনিক্যাল নো-হাও অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফির ওপর কর দিতে হবে না। এ ছাড়া কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ফলে উদ্ভূত মূলধনি মুনাফার ওপরও কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে আসবে, সেসব কোম্পানিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এর পরবর্তী তিন বছর অর্ধেক এবং তার পরবর্তী দুই বছর ২৫ শতাংশ হারে আয়ের ওপর করছাড় পাবে তারা। তবে উভয় ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোকে যথাযথভাবে হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশে নির্ধারিত সব শর্ত পূরণসাপেক্ষে ওই পলিসিতে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিচালিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর