শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কুড়িগ্রামে বস্তায় বীজ বপন ওসবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চাপায় মাদারীপুরের একই পরিবারের ৪ জন সহ ৫ জনের মৃত্যু লাউ গাছের সাথে এ কেমন শুত্রুতা, থামছেনা কৃষক দম্পতির আহাজারি আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে জাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কুড়িগ্রামে বস্তায় বীজ বপন ওসবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার মানোন্নয়নে সহায়তায় আগ্রহী জাইকা আবারও শুরু হচ্ছে সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে ৩ শতাধিক মানুষ থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন দেবহাটায় জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহত পরিবারকে সম্মাননা, দোয়া ও পরিচিতি সভা

২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমির উন্নয়ন কর মওকুফ

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩

ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’ বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের বিধান রাখা হয়েছে। তবে ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ওই কর আদায় করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে বিলের ওপর আপত্তি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। সেই আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিলটি উত্থাপনকালে ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবে এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ের লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ শীর্ষক আইনে জনস্বার্থে ২৩টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদি সংজ্ঞাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে কৃষিভূমির উন্নয়ন করের হার ২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ রাখার বিধান রয়েছে এবং অকৃষিভূমির উন্নয়ন করের হার সরকার সময়ে সময়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে মর্মে বিধান রাখা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য জুলাই-জুন অর্থাৎ অর্থবছরকে কর বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

সংসদে উত্থাপিত বিলে কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা কালেক্টরের (ডিসি) কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। ডিসি তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।

প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে (মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি) ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। এ ছাড়া বিলের বিধান অনুযায়ী, কোনো ভূমির মালিক টানা তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে তাঁকে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর পরিশোধ করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর