আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন ২৪ ডিসেম্বর

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের মতো এবারও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন করবে ক্ষমতাসীন দল।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
কার্যনির্বাহী বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, প্রতিবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন দুই দিনব্যাপী হলেও এবার তা একদিন করা হবে। সম্মেলনও তেমন জাঁকজমকপূর্ণ হবে না। সকালে উদ্বোধন, বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে আয়োজন।
সম্ভাব্য মন্দা পরিস্থিতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে জানান, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় কমানো হবে। আয়োজন হবে সাদামাটা।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪১ বছরের বেশি সময় ধরে দলের সভাপতি পদে আছেন শেখ হাসিনা। দলের ১৩তম কাউন্সিলে তিনি প্রথম সভাপতি হন। সর্বশেষ ২১তম কাউন্সিলেও তিনি একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন সম্মেলনেও একই পদে বহাল থাকবেন তিনি।
তবে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিলরও যদি আমাকে না চায় তাহলে আমি থাকব না। চলে যাব। একজন কাউন্সিলর চাইলেই পদ ছেড়ে দেব। আমি দলীয় পদ থেকে বিদায় নিতে প্রস্তুত।আমিও চাই আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব আসুক।’
এদিকে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের নবম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। ২০১৯ সালে দলটির ২১তম সম্মেলনেও তিনি এ পদে পুনঃ নির্বাচিত হন। ২২তম সম্মেলনে এ পদে পরিবর্তন আসার সম্ভবনা দেখছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই পদের দাবিদার এমন অনেকের নামই সামনে এসেছে।
দলের মধ্যে আলোচনা- সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য পদে বড় পরিবর্তনের আভাস রয়েছে।