আগামীকাল লন্ডনে বৈঠক করবে ইউক্রেনের মিত্ররা

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি নিয়ে গত সপ্তাহে প্যারিসে অনুষ্ঠিত আলোচনার ধারাবাহিকতায় এবার ইউক্রেনের মিত্ররা আগামীকাল লন্ডনে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার কিয়েভের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপি’কে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের পক্ষে কারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন, তা জানাননি এই কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, গত সপ্তাহে প্যারিসে অনুষ্ঠিত আলোচনার ধারাবাহিকতায় এই বৈঠক হবে। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যুদ্ধ বন্ধ করতে ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার জন্য সকল পক্ষকে চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু বারবার আলোচনা ও ইস্টার সানডে উপলক্ষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষিত সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ক্রেমলিনের কাছ থেকে বড় কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইউক্রেনের সাহায্যে এগিয়ে আসে। তারা মস্কোর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করে। কিন্তু ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে এই সহায়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কিয়েভের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেন।
ইউক্রেনের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প এমন একটি মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন, যা রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিদান হিসেবে কাজ করতে পারে।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ফ্রান্স ও ব্রিটেন ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বাড়াতে ইউরোপকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে যেকোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক দেশগুলো নিয়ে তারা ‘ইচ্ছুকদের জোট’ গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
পুতিন কিয়েভকে সামরিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এই ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে কিয়েভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনার দ্বারও উন্মুক্ত রেখেছেন।
কিয়েভ ও এর মিত্ররা পুতিনকে যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়াকে জনসংযোগ অনুশীলন হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ করে বলেছে, ক্রেমলিনের হামলা বন্ধ করার কোনো প্রকৃত ইচ্ছা নেই।