শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

ইমাম ভুলবশত অজু ছাড়া নামাজ পড়ালে করণীয় কী?

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ভুল সবার হতে পারে। ইমামও ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। যদি অজু আছে ভেবে ইমাম সাহেব নামাজ পড়ান, তাহলে ইমাম-মুক্তাদি কারো নামাজই শুদ্ধ হবে না। সকলের জন্য উক্ত নামাজ কাজা করা আবশ্যক। কারণ, পবিত্রতা ছাড়া নামাজ সহিহ হয় না। এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই।

প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ও ফিকাহবিদ ইমাম শরফ আন-নববি (রহ.) বলেন, ‘অজুহীন ব্যক্তির জন্য নামাজ পড়া হারাম; এ ব্যাপারে আলেম-উলামারা একমত। তারা এ ব্যাপারেও একমত যে, অজুহীন ব্যক্তি অজু না থাকা সম্পর্কে অবগত থাকুক কিংবা না থাকুক, কোনো অবস্থাতেই নামাজ শুদ্ধ হবে না। তবে, অজ্ঞতার কারণে কোনো গুনাহ হবে না। আর যদি অজু না-থাকার বিষয়টি ও অজু ছাড়া নামাজ হারাম হওয়ার বিষয়টি জেনেও কেউ নামাজ পড়ে এবং পুনরায় আদায় না করে, তাহলে সে জঘন্য গুনাহে লিপ্ত।’ (আল-মাজমু, খণ্ড: ০২, পৃষ্ঠা-৭৯)

অজু ফরজ হওয়ার পক্ষে কোরআনের দলিল হলো—আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্যে উঠো, তখন স্বীয় মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুই পর্যন্ত এবং পদযুগল গিটসহ ধৌত করো। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে পুরো শরীর পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও বা প্রবাসে থাকো অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও—অর্থাৎ স্বীয় মুখ-মণ্ডল ও দুই হাত মাটি দিয়ে মুছে ফেলো। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; বরং তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করো।’ (সুরা মায়েদা: ৬)

হজরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, পবিত্রতা ছাড়া নামাজ গ্রহণযোগ্য হয় না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৭২; ইবনে খুজাইমা: ৯, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩৩৬৬)

সুতরাং, ইমাম ভুলে অজু না থাকা অবস্থায় নামাজ পড়ালে ইমাম ও মুক্তাদি সবাইকে ওই নামাজ কাজা আদায় করতে হবে। যদি মুক্তাদি নামাজের স্থান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বিষয়টি ইমামের স্মরণ হয়, তাহলে তিনি মুসল্লিদের মাঝে এলান করে দেবেন যে, ওই দিনের অমুখ নামাজ সহিহ হয়নি, সুতরাং যারা ওই ওয়াক্তে শামিল ছিলেন, তারা সবাই সেই নামাজটি কাজা করে নেবেন।

(তথ্যসূত্র: কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মদ, বর্ণনা ১৩৩; মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক, বর্ণনা ৩৬৬২; শরহু মুখতাসারিত তাহাবি: ১/১৫২; খিজানাতুল আকমাল: ১/২৩০; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/৯২; ফাতহুল কাদির: ১/৩৬৬; আলবাহরুর রায়েক: ১/৩৬৬)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের যাবতীয় মাসয়ালা জানার, বুঝার ও যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর