শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

এখন থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে কানাডা

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

কানাডার হাউজ অব কমন্সে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল (এস-২১৪) পাস করেছে। এই বিল পাসের ফলে কানাডা এখন থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সরকারিভাবে পালন করবে। এটা বাংলাদেশি-কানাডিয়ানদের জন্য এবং সারা বিশ্বের মাতৃভাষা প্রেমিকদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

কানাডাতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অফ দি ওয়ার্ল্ড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিলটি পাসের জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান এই লক্ষ্য অর্জনে গত দুই বছর যাবৎ তার এবং সংসদ সদস্য ও সিনেটরদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন।

১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ইউনেস্কো এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের স্বীকৃত আদায়ে মরহুম রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে দূতাবাস। বিল এস-২১৪ পাশের জন্য কানাডাতে প্রবাসী আমিনুল ইসলামের উদ্যোগেরও সম্মান জানানো হয়।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বিলটি উপর আলোচনা ও পাসের সময় কানাডিয়ান পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সদস্য কেন হার্ডি, যিনি বিলটি উত্থাপন করেন, তিনি হাইকমিশনারের উপস্থিতির প্রশংসা করেন। বিলটির অন্য এক জন অগ্রগণ্য সমর্থক, সিনেটর মোবিনা এস জাফর বিলটি পাসের সময় হাইকমিশানের সাথে হাউজে উপস্থিত ছিলেন।

এই বিল পাস হওয়া—ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের প্রতি কানাডার অঙ্গীকারের প্রমাণ। বিলটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে ভাষা হলো মানুষের পরিচিতি ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অপরিহার্য উপাদান। ভাষার বৈচিত্র্যকে সম্মান করা, রক্ষা করা, প্রবর্ধন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর