শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

এমটিএফই প্রতারকদের ধরতে মাঠে নেমেছে সিআইডি

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপ ইনকরপোরেটেডে অনলাইন প্রতারণার বিষয়ে তথ্য চেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এমটিএফই নামের একটি মুঠোফোন অ্যাপে বিনিয়োগ করে চলতি বছরে বাংলাদেশের বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। রীতিমতো প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এমটিএফই। এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার সিআইডি গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এমটিএফইর প্রতারণার বিষয়ে তথ্য চেয়েছে।

বাংলাদেশে এমটিএফইর কোনো কার্যালয় নেই, নেই কোম্পানির কোনো চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) নাম–ঠিকানা। মুঠোফোনেই সব কাজ হতো। বিনিয়োগকারী সংগ্রহ করতে এমটিএফই প্রতিনিধি নিয়োগ করত। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ রকম শত শত প্রতিনিধি বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সিআইডি জানায়, বাংলাদেশে কোনো কার্যালয় না থাকলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে এমটিএফই কার্যক্রম শুরু হয়। ঘরে বসে সহজে আয়ের পথ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। বিভিন্ন ভিডিও ও বিজ্ঞাপন দেখে ভুক্তভোগীরা আগ্রহী হন।

সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হন একজন আরেকজনকে দেখে। এমটিএফইও বহুস্তর বিপণন বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে কাজ করেছে। বেশি লাভের আশায় লাখ লাখ মানুষ অ্যাপটিতে বিনিয়োগ করেছেন। কিছু মানুষ অবশ্য লাভের অংশ পেয়েছেন। তবে চূড়ান্ত বিচারে বিনিয়োগের সব অর্থই খোয়াতে হয় গ্রাহকদের। ঢাকাসহ বরিশাল, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, কুমিল্লা ও সাতক্ষীরায় প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সারা দেশে চার থেকে পাঁচ লাখ গ্রাহক এমটিএফইর মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন।

সিআইডি আরও বলছে, শুধু এমটিএফই নয়, দেশে এখনো সক্রিয় আছে অনিবন্ধনকৃত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক এ ধরনের প্রতারক চক্র। বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, এমএলএম ব্যবসা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন অবৈধ ও নিষিদ্ধ। অ্যাপ ও অনলাইনভিত্তিক যেকোনো ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম বিষয়টি নজরদারি করছে। এ জন্য ভুক্তভোগী গ্রাহক ও প্রতারক চক্রের তথ্য এবং অভিযোগ জানাতে সিআইডি সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর