রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি উপজেলাসহ কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ ধরা ও শিকার করা নিষিদ্ধ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক নেপালে স্বর্ণের খোঁজে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল গাজার উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ই স রা ইলি বিমান হাম লা য় ২৫ জন নি হ ত হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

এলএনজির ৪ বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন চলতি বছরে

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩

বিদেশ থেকে আমদানিনির্ভর লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) নির্ভর চারটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এগুলো উৎপাদনে এলে জাতীয় গ্রিডে আরও প্রায় ২৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। এতে উৎপাদন সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে মনে করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। নির্মাণাধীন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তিনটির অগ্রগতি বেশ ভালো। চলতি বছরের যে কোনো সময় এগুলোতে উৎপাদন শুরু হতে পারে।

নির্মাণাধীন চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্সের ৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, সামিট পাওয়ারের মেঘনাঘাট-২ এর ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, এবং আনোয়ারার ৫৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি পাওয়ারনির্ভর করে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ (সিওডি) নির্ধারণ করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রিলায়েন্সের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮৮ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮১ শতাংশ। সামিট মেঘনা ঘাট-২ এর ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি প্রায় ৬৭ শতাংশ, মেঘনাঘাট কেন্দ্রটির ভৌত অগ্রগতি ৬১ দশমিক ২০ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি ৫৭ শতাংশ। এ ছাড়া আনোয়ারার কেন্দ্রটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১১ শতাংশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আগে সবচেয়ে সস্তা ছিল। কিন্তু সারা দুনিয়ায় এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি বদলেছে। এখন এলএনজি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। এ কারণে সরকার অনেক এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করেছে। তবে বেসরকারি খাতের চারটি কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা এলাকায় এলএনজিনির্ভর ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য জমি বরাদ্দ ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও শেষ হয়। তবে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে যৌথ মালিকানায় বড় আকারের দুটি এবং সরকারিভাবে আরও সাতটি এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর