কবর খোঁড়ায় যার নেশা নূর মোহাম্মদ নুরামিয়া

দা, চাকু, খুন্তি-কুড়ালসহ লোহার তৈরি নানা যন্ত্রপাতি। কারও মৃত্যর খবর এলে এভাবেই ছুটে যান নোরা মিয়া। উদ্দেশ্য শেষ ঠিকানার মাটির ঘর তৈরি করা!
কারও মৃত্যর খবর এলে ছুটে যান মানিকগঞ্জ কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নোরা মিয়া। এ পর্যন্ত তিনি ২০০ অধিক জনের কবর খুড়েছেন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ নুরা মিয়ার এমন ভাবে ছুটে চলেন দেখলেই যেন বুঝতে পারেন নিশ্চিত কারও মৃত্যু হয়েছে।
ইসলাম ধর্মের কারও মৃত্যু হলেই দাফনের সময়টা জেনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে ছুটে যান তিনি। মৃত্যুর ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে বাঁশ কাটা থেকে শুরু করে নিপুণ হাতে কবর খোঁড়ার কাজ করেন নুরা মিয়া। দাফন শেষ করে বাড়ি ফিরেন তিনি। এ জন্য নেন না কোন পারিশ্রমিক।
তিনি বললেন কখনও খাওয়ার মাঝখানে মৃত্যুর খবর এলে ভাত রেখে ছুটে যান। এটা তার নেশা।পরিবারে তার কোন বাধা নেই ছেলেরাও সাহায্য করে তাই কোন বাধা দেইনি। এখন স্বাভাবিক মনে হয়।