শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
তারেক রহমানের নির্দেশনায় কায়সার কামালের উদ্যোগে ঈদ উপহার পেলো ৮ শহীদের পরিবার পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে পিরোজপুরে শেষ মুহূর্তে পশুর হাটে জমজমাট বেচাকেনা বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর খননের উদ্যোগ পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগে’র কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসচাপায় সিএনজির তিন যাত্রী নিহত, চালক পলাতক আত্রাইয়ে মোহাম্মাদি যুবসমাজের উদ্যোগে ঈদ উপহার দেওয়া হয় আত্রাইয়ে স্থানীয় নির্বাচনে জামায়াতের মনোনিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন পেশাদারিত্বের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলায় দায়িত্ব পালন করতে হবে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা দুর্গাপুরে চার শহীদ পরিবারের মাঝে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ঈদ উপহার গাইবান্ধার বিশেষ অভিযানে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মনির আটক

কর্মহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজৈরে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সোলার প্যানেল

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি।
প্রকাশিত হয়েছে : মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
কর্মহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজৈরে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সোলার প্যানেল
কর্মহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজৈরে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সোলার প্যানেল

এক সময়ে ভরা যৌবনের শক্তি উদ্দিপনা ও দুরুন্তপনায় উপজেলা দাপিয়ে বেড়ানো সোলার প্যানেল গুলো এখন কেবলই দাঁড়িয়ে আছে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে।
এটা কোন রুপকথার গল্প নয় এটাই বাস্তব এবং দৃশ্যমান সত্য। এটা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলায় ২০১৩ সনে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মেঘা সোলার প্রজেক্ট।
সারা বাংলাদেশে যখন বিদ্যুতের লোড সেডিং এর ভয়াবহতায় অতিষ্ঠ জনজীবন। সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল হাজার হাজার সাধারন জনগন। ঠিক তখনই বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পুরন করতে তৎকালিন সরকার হাতে নেয় রাজৈর উপজেলার জন্য সোলারের এই মেঘা প্রজেক্ট। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি।
২০১৩ সালেই ৭২ টি বড় ব্যাটারির সমন্বয়ে উপজেলা পুরানো ভবনের ছাদে বসানো হয় এই সোলার প্যানেলটি। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর গুলো। দাপ্তরিক কাজে প্রাণ ফিরে পায় উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ বছর ওটা দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি।
এরপর তারা এটি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এরপর যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং কমে আসতে শুরু করে তখন থেকেই এই প্রজেক্টস এর গুরুত্ব কমতে থাকে রক্ষণাবেক্ষণেও অনিহা দেখা দেয়। একের পর এক ব্যাটারি নষ্ট হতে হতে আরো দুই বছর আগেই পুরা ৭২ টা ব্যাটারি ই অকেজো হয়ে যায়। এতে উপজেলা প্রশাসন কিংবা সুবিধা ভোগি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী কাহারো কোন মাথা ব্যাথা দেখা দেয় নেই, কারন তাহারা নিরোবিছন্ন বিদ্যুৎ তো পাচ্ছেই। প্রশাসনের এহেন ব্যাবহারের কারনে সরকারী কোষাগারের কোটি কোটি টাকাই শুধু নয়, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশের বড় বড় মেঘা প্রজেক্টস গুলো। তাই বর্তমানে পরিশোধিত, পরিমার্জিত, পরিবর্তীত নতুন বাংলাদেশের প্রশাসনের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে বড় বড় মেঘা প্রজেক্ট থেকে দৃষ্টি সড়ে যাতে পারে দাতা দেশ গুলোর। সাধারন জনগন এখনও একটি আশা বুকে লালন ও ধারন করে বেড়ায় যদি দেশের সমস্ত প্রশাসন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব স্ব স্ব ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে অর্পণ করে তাহলে বাংলাদেশ এই সোলার প্যানেলের ন্যায় মুখ থুবরে নয় বরং ভেসে যাবে উন্নয়নের জোয়ারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর