শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মায়ের দোয়ায় মোড়ানো এক দূর দেশের যাত্রা সরিষাবাড়ীতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, মৃত সন্তান প্রসব, ধর্ষক গ্রেফতার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরিষাবাড়ি পৌর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতি গণসংযোগ আত্রাইয়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুধী সমাবেশ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার : তৌহিদ সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রতারক আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন নাসিরনগরে দুই কেজি গাঁজা ও মোটর সাইকেল সহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই শিশুকে টঙ্গীতে জবাই করে হত্যা রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক নিহত

কেবল মায়ের পরিচয়েও স্কুলে পড়তে পারবে সন্তান

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর তথ্য সংক্রান্ত ফরম (এসআইএফ) পূরণের ক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে বাবার নাম লেখার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা আর থাকছে না। বাবা, মা এবং আইনগত অভিভাবক– এই তিন বিকল্পের যে কোনো একটি ব্যবহার করলেই চলবে বলে রায় দিয়েছে হাই কোর্ট। এসএসসিতে মায়ের নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চেয়ে প্রায় এক দশক আগের করা এক রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই রায় দেয়।

রিটকারী পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ বছর আগে যখন রিট মামলাটি ফাইল করা হয়, তখন একজন শিক্ষার্থীকে অভিভাবক হিসেবে বাবার নাম উল্লেখ করতে হত, এরপর মায়ের নাম উল্লেখ করতে হত। ফলে একজন শিক্ষার্থী চাইলে বাবার নাম উল্লেখ না করে মায়ের নাম উল্লেখ করতে পারত না। আজ শুনানি শেষে হাই কোর্ট বলেছে, বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবকের মধ্যে যে কোনো একটি উল্লেখ করে ফরম পূরণ করা যাবে।

আদালতে রুলের পক্ষে শুনানিতে আরো ছিলেন অ্যাডভোকেট এমএম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ না করায় ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুণীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। মা ও সন্তানকে স্বীকৃতি না দিয়ে বাবা চলে যাওয়ায় ওই তরুণী তার মায়ের একার চেষ্টায় বড় হচ্ছিলেন। পরে এই ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের ওপর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে ২০০৯ সালের ২ অগাস্ট মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)’, ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’ ও ‘নারী পক্ষ’ হাই কোর্টে জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি হয় ২০০৯ সালে ৩ অগাস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর বেঞ্চে। সে সময় আদালত রুল জারি করে।

মানবাধিকার, সমতার পরিপন্থি ও বিশেষভাবে শিক্ষা অধিকারে প্রবেশগম্যতার বাধাস্বরূপ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এই বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থি এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না– তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই রুলের নিষ্পত্তি করে গতকাল মঙ্গলবার রায় দিল আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর