খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়ায় বিশ্ব শান্তি ও মানবতার কল্যাণে গীতাযজ্ঞ ও গীতাগ্রন্থ দান অনুষ্ঠিত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার পৃষ্ঠপোষকতায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ঠাকুরছড়া রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব শান্তি ও মানবতার কল্যাণে শ্রী শ্রী গীতাযজ্ঞ ও গীতাগ্রন্থ দান অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৩ মে) সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে পূজাচর্চা, ধর্মীয় আচার এবং পূর্ণাহুতি। আয়োজনে পৌরোহিত্য করেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ, পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। তাঁর আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব ও বাণীতে অনুষ্ঠানে এক পবিত্র ভাবগম্ভীর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে ঠাকুরছড়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সনাতনী ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দ বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেন। তারা গীতা পাঠ, নাম সংকীর্তন ও ধর্মীয় আলোচনা উপভোগ করেন এবং শ্রীমদ্ভগবদগীতার মাহাত্ম্য ও নৈতিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হন। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই মিলনমেলায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
এসময় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আগত ভক্তদের মাঝে শ্রীমদ্ভগবদগীতা গ্রন্থ বিতরণ করা হয়। গীতাগ্রন্থ দানের মাধ্যমে ভক্তদের মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সরব ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর এই ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা পাহাড়ি জনপদের ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় ও সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা জানান, “এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পার্বত্য এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে শ্রীমদ্ভগবদগীতার নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া এবং বিশ্ব শান্তি ও মানবতার জন্য প্রার্থনা করা।”
পাহাড়ি জনপদের এধরনের সনাতনী ধর্মীয় আয়োজন শুধু আধ্যাত্মিক উন্নয়নই নয়, সামাজিক ও নৈতিক জাগরণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।