গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আল্লাহ কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে তৌহিদী জনতার সড়ক অবরোধ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের চাপড়ীগঞ্জে গেল বুধবার মহান আল্লাহ’কে কটুক্তি’ ও প্রতিবাদ করায় মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায়
জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে প্রশাসনের কাছে আল্টিমেটাম দিয়ে তৌহিদী জনতা ও এলাকাবাসী শুত্রবাব বিকালে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে।এসময় স্থানীয় তৌহিদি জনতার দাবীর সাথে একত্বতা প্রকাশ করে দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন,মাওলানা আকরাম হোসেন, মাওলানা আব্দুল মোমিন সিরাজী,হাফেজ সাইফুল ইসলাম। অবরোধের এ খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেফতারে ৪৮ঘন্টার সময় নিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের চাপরীগঞ্জ এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমিরুল নামে এক বে-ইমান যুবক,মহান আল্লাহকে নিয়ে খুবই খারাপ ভাষায় কটুক্তি,অবমাননা করলে,পাশেই থাকা চকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ হেদায়েতুল কানে পড়লে ওই বে-ইমান যুবককে একটি চড় মেরে প্রতিবাদ করেন,এতে ওই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে তার দুই নিকট আত্মীয় আবু তাহের ও জাকারিয়াকে ডেকে এনে মসজিদের ইমাম হাফেজ হেদায়েতুল ইসলাম এলোপাতাড়ি মারধর করে, এতে মসজিদের ইমাম আহত ও জখম হলে,স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের নিয়ে যায়।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চাপরীগঞ্জ বাজার এলাকায় বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে কটুক্তি কারী যুবক আমিরুল তার ২সহযোগীকে দ্রুত গ্রেফতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।এ খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বুলবুল ইসলামের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত ইকবাল পাশা সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে কথা বলে বে-ইমান যুবক আমিরুল ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ তুলে নেয়।
স্থানীয়রা জানায়,বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামারদহ ইউনিয়নের চাপরীগঞ্জ বাজার এলাকায় ব্যাপারী পাড়া গ্রামের স্থানীয় যুবক আমিরুল ও রাজুর মধ্যে তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা চলছিল,এরি এক পর্যায়ে আমিরুল আল্লাহকে নিয়ে খুবই খারাপ ভাষায় একটি কুটুক্তি করে। এই কুটুক্তিটি চকপাড়া মসজিদের ইমাম হেদায়েতুল ইসলামের কানে পড়ে, সে সময় মসজিদের ইমাম কুটুক্তিকারী যুবককে একটি চড় মেরে প্রতিবাদ করে, সে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দুই আত্মীয়কে ডেকে নিয়ে এসে ইমামকে মারধর করে, পরে খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ইমামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।এবং কুটুক্তিকারী ও সহযোগীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করে প্রায় ৩০মিনিট ধরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে, পরে প্রশাসন দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনগন অবরোধ তুলে নেয়। এঘটনায় শুক্রবার মামলা দায়ের হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।