শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

জামায়াত নিয়ে খালেদ মহিউদ্দিন এর লিখা

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি : নজরুল ইসলাম
প্রকাশিত হয়েছে : শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
জামায়াত নিয়ে খালেদ মহিউদ্দিন এর লিখা
জামায়াত নিয়ে খালেদ মহিউদ্দিন এর লিখা

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে জামায়াত নিজেদের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট সম্বলিত একটা পাবলিকেশন বিলি করেছে — সেটা নিয়ে এখুনি কথা বলার ইচ্ছা আমার নাই। আমি কথা বলতে চাই, জুলাই শহীদদের নিয়ে জামায়াতের দশ খন্ডের বইটার ব্যাপারে।

আমি আল্লাহর কাছে দুআ করি— এই কাজের পুরস্কার যেন আল্লাহ জামাতকে দান করেন। প্রায় ছয় শত শহীদের জীবনী, তাদের পরিচয়, আকাঙ্ক্ষা, পরিবার, শাহাদতের বিবরণ, তাদের উপর চালানো নির্মমতা— এসব কিছু রঙ্গিন পাতায় এতো উত্তমভাবে আনা হয়েছে, বলার মত নয়।

এমন একটা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে জামাতের যাতায়াত, লেখক খরচ, ইন্টারভিউ খরচ, এডিট এবং অন্যান্য খরচ কত হতে পারে, সেটা আমার আমি ভালোই অনুমান করতে পারি কারণ — আমি পাবলিকেশন সেক্টরে অনুবাদক হিসেবে আমি কাজ করছি।

সবচেয়ে বড় কথা হল— এই বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, জুলাই শহীদদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি জামাতের কমিটমেন্ট আছে এবং এইটা তারা রক্ষা করতে চায়।

আমরা অনেকেই সমালোচনা করেছিলাম— জামাত কেন তাদের দলের শহীদদের নাম প্রকাশ করেনা? আমীরে জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছিলেন— জুলাইয়ের সকল শহীদই আমাদের শহীদ। আমরা দলীয় ক্রেডিট নেবার মধ্য দিয়ে বিভাজন করব না। সকল শহীদ পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

আমীরে জামাত তাঁর কথা রেখেছেন কিনা, আপনারা খোঁজ নিয়েছেন? আমি নিয়েছি। জানতে পেরেছি, তারা শহীদ পরিবারের খোজ নিয়েছেন এবং পরিবারের অবস্থা ভেদে গড়ে পড়তায় দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিয়েছেন। প্রায় ৬০০ পরিবারকে তারা এই অনুদান দিয়েছেন।

এসব গোপনও রেখেছে জামাত। কারণ, জামাতের অনুদান পেয়েছে, এটা জানলে অনেকে শহীদ পরিবারকে ‘জামাতি’ বলে ট্যাগ দিবে। রাষ্ট্রীয় অনুদান কিংবা অন্য কোনো সংগঠন থেকে অনুদান প্রাপ্তির পথ তখন রুদ্ধ হতো।

সেদিন এক ভিডিওতে দেখলাম, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের এক অনুষ্ঠানে এক শহীদমাতা কেঁদে কেঁদে বলছেন— জামাত থেকে কয়েক লাখ টাকা পেয়েছেন, আর কেউ তাদের খোজ নেয়নি।

জামাত এইসব অনুদান দল দেখে দেয় নাই, কোনো বিভেদ করে নাই।

আজকে দেখলাম— অনেকেই একটা পোস্ট শেয়ার দিচ্ছে যে, জামাত নাকি সবাইকে ধারণ করতে পারবেনা ক্যাডারভিত্তিক হবার কারণে।

কথাটা ভুল, একইসাথে অন্যায়। দলীয় প্রতিষ্ঠানে তারা নিজেদের লোকদের জব দেবে কারণ, কেবল জামাত করার অপরাধে তাদেরকে সরকার বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান জব দেয়না। এই মজলুমদের দায়িত্ব তো জামাতকেই নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর