জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানো হচ্ছে। সোমবার রাত ১২টা থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।
গত ৫ আগস্ট ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় সরকার। কেরোসিন ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং ৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর থেকেই শুল্ক কমানোর দাবি ওঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর রোববার (২৮ আগস্ট) শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়। ডিজেলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এনবিআর। এছাড়া প্রত্যাহার করা হয়েছে সবধরনের আগাম কর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের সমন্বয় কিছুটা করতে পারব। তার যাচাই-বাছাই চলছে। সরকার যেহেতু আমদানি শুল্ক কমিয়েছে, সেটা হয়তো আমাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির সংবাদ। কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে আবার। ১৫০ মার্কিন ডলারে উঠেছে প্রতি ব্যারেলে।
নসরুল হামিদ বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমরা কতটুকু সমন্বয় করতে পারব, কারণ এখানে ভর্তুকির একটা বড় অংশ যোগ হবে আবার। কারণ যখন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল তখন আট টাকার উপরে ভর্তুকি ছিল। এখন হয়তো সে টাকাটা আরও বাড়তে পারে। এসব পর্যালোচনা করে আমরা দেখব, তারপরে সিদ্ধান্ত নেবো।
এদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ সোমবার (২৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, অগ্রিম কর এবং আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে জ্বালানি তেলের দাম কতটুকু কমবে সেটা আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে। তবে এ সুবিধা ভোক্তা পর্যায়ে কবে নাগাদ পৌঁছবে সেটা জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।
ডিজেলের বিষয়ে এ বি এম আজাদ বলেন, দাম কমার বিষয়ে যদি আপনাদের লেটেস্ট তথ্য দিই, এভারেজে এ মাসের গত ২৮ দিনের যে রেট যেটা রিফাইন ওয়েলে, সেটা এখনও ১৩২ ডলার প্রতি ব্যারেলে পড়ছে। যেটা আমার কস্টিংয়ে চেয়ে সাড়ে নয় থেকে ১০ টাকা বেশি প্রতি লিটারে।