রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

ঢাকা মেডিকেলে প্রথমবারের মতো টেস্টটিউব বেবির জন্ম

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দেশের বেসরকারি হাসপাতালে এর আগেও টেস্টটিউব বেবির জন্ম হলেও সরকারি হাসপাতাল হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রথমবারের মতো টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, এই টেস্টটিউব বেবি এক ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি। আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো এই ধরনের চিকিৎসায় সফলতা পেয়েছেন। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। দেড় সপ্তাহ আগে শিশুটির জন্ম হয়েছে। সে সুস্থ আছে এবং মাও সুস্থ আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, টেস্টটিউব বেবি নেওয়া হয় মূলত আইভিএফ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে আইভিএফ। এ পদ্ধতিতে স্ত্রীর পরিণত ডিম্বাণু ল্যাপারেস্কোপিক পদ্ধতিতে অত্যন্ত সন্তর্পণে বের করে আনা হয়। প্রক্রিয়াজাতকরণের পর ল্যাবে সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া একই পদ্ধতিতে স্বামীর শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়। পরে ল্যাবে বিশেষ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় সবচেয়ে ভালো জাতের একঝাঁক শুক্রাণু।

তারপর অসংখ্য সজীব ও অতি ক্রিয়াশীল শুক্রাণুকে ছেড়ে দেওয়া হয় নিষিক্তকরণের লক্ষ্যে রাখা ডিম্বাণুর পেট্রিডিশে। ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর এই পেট্রিডিশটিকে তারপর সংরক্ষণ করা হয় মাতৃগর্ভের পরিবেশ অনুরূপ একটি ইনকিউবেটরে। এরপর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ইনকিউবেটরের মধ্যে পর্যবেক্ষণের পরই বোঝা যায় নিষিক্তকরণের পর ভ্রূণ সৃষ্টির সফলতা সম্পর্কে। ভ্রূণ সৃষ্টির পর সেটিকে একটি বিশেষ নলের মাধ্যমে জরায়ুতে সংস্থাপনের জন্য পাঠানো হয়। জরায়ুতে ভ্রূণ সংস্থাপন সম্পন্ন হওয়ার পরই তা চূড়ান্তভাবে বিকাশ লাভের জন্য এগিয়ে যেতে থাকে এবং সেখান থেকেই জন্ম নেয় নবজাতক। এভাবে ৯ মাস পর যে শিশুর জন্ম হয়, তাকে টেস্টটিউব শিশু বলা হয়। কোনো টেস্টটিউবে এই শিশু বেড়ে ওঠে না। জানা যায়, বাংলাদেশে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয় ২০০১ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এরপর একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই প্রথম এ ধরনের কোনো শিশুর জন্ম হলো।

চিকিৎসকদের মতে, অনেক মায়েরাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান না হওয়ার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে অনেকে চিকিৎসা নিতে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ভারতে যান। সেখানে টেস্টটিউব বেবি জন্মদান অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। সরকারি হাসপাতালে টেস্টটিউব বেবির জন্মের সাফল্য এই খাতে খরচ অনেকটা কমাবে বলে মনে করছেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর