তাড়াশে আ’লীগের নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে অন্তঃস্বত্তা ইডেন কলেজ ছাত্রীর মামলা

সিরাজগঞ্জে মোনায়েম হোসেন জেমস নামের এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী।
অভিযুক্ত মোনায়েম হোসেন জেমস জেলার তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সগুনা ইউনিয়নের হেমনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার ঐ কলেজ ছাত্রী ৪ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা। কলেজ ছাত্রী জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার রুপাখাড়া গ্রামে আব্দুল মান্নান সরকারের মেয়ে। তিনি ঢাকা ইডেন কলেজে পড়াশোনা করার সময় ও ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম হোসেন জেমস এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে জেমস বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ কিশোরীকে তার লালবাগের রসুলবাগের ১৯৫/১ (৫ তলা) ভাড়া বাসায় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক বার ধর্ষণ করে।
গত ৩০শে জানুয়ারী ২০২৩ ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে জানতে পারেন তিনি ৪ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা। বিষয়টি জেমসকে জানালে বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলে। পরে গর্ভবতী হওয়ার কথা জেমস এর বাবা ও ভাইকে জানালে তারা বিষয়টি মেনে না নিয়ে বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলে। পরে ৪ জানুয়ারী জেমস এর সাথে বিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে কৌশলে গত ৩রা ফেব্রæয়ারী নিজ এলাকার একটি মেয়ের সাথে বিয়ে মোনায়েম হোসেন জেমসের বিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইডেন কলেজ ছাত্রী তামান্না পারভীন বাদী গত ৫ ফেব্রæয়ারি ঢাকার লালবাগ থানায় জেমস সহ ৩জনকে আসামী করে নারী ও নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা জেমস এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
জেমস এর বাবা আব্দুল ওহাব বলেন, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার ছেলেকে ফাসানোর জন্য চক্রান্তমূলক ভাবে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হচ্ছে। জেমস বর্তমানে ভারতে রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস খোন্দকার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এম মোকছেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।