তারেক রহমানের নির্দেশনায় কায়সার কামালের উদ্যোগে ঈদ উপহার পেলো ৮ শহীদের পরিবার

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার পেলো ঈদ উপহার। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার আট শহীদের পরিবারকে এই উপহার প্রদান করা হয়।
শহীদ পরিবারগুলোর সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে তারেক রহমানের নির্দেশে মানবিক এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার আট শহীদের পরিবারকে বুধবার (৪ জুন) ও বৃহস্পতিবার (৫ জুন) স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই উপহার পৌঁছে দেন।
স্বৈরাচার থেকে দেশকে মুক্ত করার জুলাই আন্দোলনে দুর্গাপুরের মাসুম বিল্লাহ,ওমর ফারুক,সাইফুল ইসলাম সেকুল ও জাকির হোসেন শহীদ হন। এই আন্দোলনে কলমাকান্দার আহাদুন,আব্দুল্লাহ আল মামুন,সোহাগ মিয়া ও মেহেদী হাসান শহীদ হন। এই আট শহীদের পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সর্বদাই পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
শহীদদের পরিবারকে দেয়া এবারের ঈদ উপহারের মধ্যে রয়েছে কুরবানির জন্য খাসি, চাল,পিঁয়াজ,রসুন,হলুদ,মরিচ,ধনিয়া, সয়াবিন তেল,সেমাই,নুডলস,চিনি,দুধ,লবণ সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। এছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য পাঞ্জাবি, পায়জামা,শাড়ি,শার্ট,প্যান্ট,থ্রি-পিসসহ অন্যান্য বস্ত্রসামগ্রী উপহার দেয়া হয়।
এই ঈদ উপহার পেয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন,ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সুখে-দু:খে সবসময়ই আমাদের পাশে দাঁড়ান। এর আগেও তিনি আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। এই উপহার পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা তার জন্য দোয়া করি।
শহীদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের মা ঈদ উপহার হাতে পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে বলেন,আমার ছেলেকে হারিয়েছি, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ব্যারিস্টার কায়সার আমার আরেক ছেলে হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এত বড় উপহার পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি,তিনি যেন অসহায়দের পাশে থাকেন সবসময়।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হলো আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব । তাঁদের আত্ম বলিদানের জন্য আমরা এই নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি । তাই তাদের পাশে সর্বদাই আমরা আছি এবং থাকবো।
মানবিক এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে নেত্রকোণার এই দুই উপজেলায়। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।