দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের চেষ্টা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ঘটনা তদন্তে পুলিশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে অভিযান চালাতে যায় বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে।
ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসের তল্লাশি অভিযানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে একমত হতে পারেনি পুলিশ। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত সপ্তাহে সামরিক আইন প্রয়োগের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনীতিতে এটিই সর্বশেষ ও সবচেয়ে বড় ঘটনা।
প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসন করা হয়েছে এবং তাকে পদত্যাগ করার জন্য বারবার আহ্বান জানানোর পরও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন।
বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন শাখা থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। এমনকি, তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন ঘোষণার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, এমন কোনও আদেশ আর কখনও দেওয়া হবে না।
সামরিক আইন ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার রাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তা দ্রুত বাতিল করার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ইউন অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছেন।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, সংসদে অভিশংসিত হলেও প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছাড়তে হয় না। সেদেশে অভিশংসনের জন্য যে নয় সদস্যের কমিটি রয়েছে, সেখানে অন্তত ছয় জন সদস্য একমত হলে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত হবেন।