নওগাঁয় অনূর্ধ্ব-১৫ এর মাসব্যাপী সাঁতার-এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ শুরু

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে নওগাঁয় অনূর্ধ্ব-১৫ বালক বালিকাদের মাসব্যাপী সাঁতার ও এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (৪ মে) দুপুরে জেলা স্টেডিয়ামে ক্রীড়া অধিদফতরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় জেলা ক্রীড়া অফিস এই আয়োজন করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। পরে জেলা প্রশাসক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে জার্সি বিতরণ করেন।
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনুল আবেদীন, নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সদস্য ও সাবেক ফুটবলার এনামুল হকসহ ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, সাঁতার ও এ্যাথলেট্রিক্স প্রশিক্ষণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকাকে চূড়ান্ত বাছাই করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিভাগীয় দল গঠনের জন্য সেরা প্রতিভাবানদের বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে। এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া আজাদ মৌমী বলেন, আগে কখনও এ্যাথলেটিক্সে অংশগ্রহণ করিনি। যারা ঢাকায় থাকে তাদেরকে দেখতাম তারা এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করত। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে জেলার সুনাম বয়ে আনতে পারব।
নওগাঁ কৃষ্ণধন (কেডি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মহাইমিনুল ইসলাম বলেন, শহরে থাকার কারণে সেভাবে সাঁতার শেখার মতো কোনো সুযোগ পাই না। সাঁতারের বিভিন্ন প্রকারের নিয়ম রয়েছে যেগুলো আমরা অনেকেই জানি না। মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা ভালোভাবে সাঁতার শিখতে পারব এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসহ নিজ জীবনে কাজে লাগাতে পারব।
প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, নগরায়নের কারণে শহরগুলোতে এখন সাঁতার শেখার মতো কোনো জায়গায় নেই। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণের জন্য সাঁতার এবং এ্যাথলেটিক্সের কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো অনেকেই জানে না। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সে নিয়মগুলো শিখতে পারবে। শুধু প্রতিযোগিতাতেই নয়, তারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনেও এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারবে।