সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রৌমারীতে রাস্তাবিহীন একটি প্রাইমারি স্কুল, বিপদে শিক্ষার্থীরা। “নাগেশ্বরী কচাকাটা কলেজের শিক্ষিকা লাকী খাতুনের বিরুদ্ধে পর্দা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ” আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবি ক্লাস বর্জন করে ছাত্র/ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল নওগাঁয় অনূর্ধ্ব-১৫ এর মাসব্যাপী সাঁতার-এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ শুরু নওগাঁয় নিম্নমানের ইট-রাবিশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ: দুই ব্যক্তি আটক, কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপি’র দ্বি বার্ষিক সম্মেলন শতইস্ফূর্ত ভাবে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক নির্বাচিত। ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশিদের জন্য ইউএই’র ভিসা পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সংবাদমাধ্যম যত বেশি প্রশ্ন করবে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা তত সচেতন হবে: মাহফুজ আলম

“নাগেশ্বরী কচাকাটা কলেজের শিক্ষিকা লাকী খাতুনের বিরুদ্ধে পর্দা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ”

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত হয়েছে : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫
"নাগেশ্বরী কচাকাটা কলেজের শিক্ষিকা লাকী খাতুনের বিরুদ্ধে পর্দা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ"
"নাগেশ্বরী কচাকাটা কলেজের শিক্ষিকা লাকী খাতুনের বিরুদ্ধে পর্দা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ"

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লাকী খাতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্দা প্রথা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ২ মে (শুক্রবার) নিজ ফেসবুক আইডি ‘Lacky Khatun’ থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন—
‘চেহারা যদি এভাবে ঢাকতে হয়, আল্লাহ মুখ দিলেন কেন? পর্দা প্রথা খুবই ভয়ংকর অশিক্ষিত প্রথা। সামান্য সেন্স দিয়ে চিন্তা করলেই বুঝা যায়, পুরুষেরাই নিঃস্বার্থে নারীর উপর এটা চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ নিজেরা তা মানে না। এটা আল্লাহর নামে পুরুষেরা নারীর উপর চালিয়ে দিচ্ছে। যদি এটা আল্লাহর নির্ধারিত হতো, নারীদের কচ্ছপের মতো স্থায়ী খোলস দিয়ে জন্ম দেওয়া হতো।’

পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ৩ মে (শনিবার) দুপুরে একদল মুসল্লি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, শিক্ষিকার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিষয়টি তদন্তাধীন এবং অভিযুক্ত ইতোমধ্যে ভিডিও বার্তা ও স্ট্যাটাসে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

নাগেশ্বরী থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘তাকে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর