নাটোরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে মধ্য দিয়ে উৎসব মূখর পরিবেশে স্টার সানডে উদযাপিত

নানা আনুষ্ঠানিকতা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতায় নাটোরে উদযাপিত হয়েছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে। জেলার বৃহত্তম বনপাড়া লুর্দের রানী মা মারিয়া ক্যাথলিক চার্চসহ বড়াইগ্রামের ভবানীপুর, কুমরুল, মানগাছা, গোপালপুর, বোর্ণী এবং নাটোর সদর, লালপুর, সিংড়া ও বাগাতিপাড়ার বিভিন্ন ক্যাথলিক ও ব্যাপ্টিস্ট চার্চে দিবসটি উদযাপন করা হয় ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই প্রতিটি চার্চে শুরু হয় পবিত্র খ্রিষ্টযাগ ও বিশেষ উপাসনা। উৎসবকে কেন্দ্র করে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের আয়োজন করা হয় দই, চিড়া, কলা, মুড়ি, দুধ ও মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে।
বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া লুর্দের রানী মা মারিয়া ক্যাথলিক চার্চের সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার ড. শংকর ডমিনিক গমেজ জানান, খ্রিষ্টান ধর্মমতে, যিশুখ্রিষ্ট ৩৭ দিন যাতনা সহ্য করে ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় প্রাণ ত্যাগ করেন এবং মৃত্যুর তৃতীয় দিনে, অর্থাৎ ৪০তম দিনে তিনি পুনরুত্থিত হন।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর ওই ৩৯ দিন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনুসারীরা উপবাস (রোজা) পালন করেন। এই দিনটি উদযাপনেই ইস্টার সানডে পালন করা হয়।
তিনি আরও জানান, বনপাড়া চার্চে সকাল ৭টা ও ৯টায় দুটি খ্রিষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়, যেগুলো পরিচালনা করেন প্রধান পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা।
জেলা তথ্য অনুযায়ী, বড়াইগ্রামে রয়েছে ৬টি খ্রিষ্টান ধর্মপল্লী এবং পুরো জেলায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।
খ্রিষ্টযাগ ও উপাসনা শেষে বিভিন্ন এলাকায় আয়োজন করা হয় সামাজিক বৈঠকের, যেখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক বন্ধনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ইস্টার সানডে উদযাপন করেছে নাটোরের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়।