বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শেরপুরে রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছেন ঠিকাদার মান্নান! প্রশাসনের নীরবতায় উত্তপ্ত জনমত। পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দিদারকে ঘর তৈরিতে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা সরকারি বাঙলা কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বোটানি ক্লাব কর্তৃক অন্ত:বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ আয়োজিত। “জন-স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়াই হবে দেশের অগ্রগতির মূল কাজ”।- মাহমুদুল হাসান (ইউ এন ও) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, ঢাকায় ৩৯.৯ ডিগ্রি নালিতাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে পক্ষপাতের অভিযোগ জামতলীতে বেস্ট লাইফ ইনসুরেন্সের শাখা অফিস উদ্বোধন এবং নবনিযুক্ত কর্মচারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী কাউয়া বাবু সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা ও বাইক ভাংচুর। কুড়িগ্রামে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন

নালিতাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে পক্ষপাতের অভিযোগ

এডভোকেট সাব্বির সরকার স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর
প্রকাশিত হয়েছে : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
নালিতাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে পক্ষপাতের অভিযোগ
নালিতাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে পক্ষপাতের অভিযোগ

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব সোহেল রানার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রমে পক্ষপাতিত্ব ও অভিযোগ উপেক্ষার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ছাত্রলীগ সহ আওয়ামীলীগ এর নেতা কর্মীদের নামে বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অভিযোগগুলো ওসি সোহেল রানা আমলে না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে হতাশা তৈরি হয়েছে।

সবশেষ গত ৩ মে নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নামে হাতে লেখা উসকানিমূলক পোস্টার লাগানো হয়। বিষয়টি থানার নজরে আসার পর ওসি সোহেল রানা কোনো আইনানুগ পদক্ষেপ না নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ দেন পোস্টারগুলো গোপনে সরিয়ে ফেলতে।

এদিকে ৩ মে’র ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের করা একটি লিখিত অভিযোগপত্র থানায় জমা দেওয়ার ৯ দিন পার হলেও কোনো আইনি অগ্রগতি দেখা যায়নি। অভিযোগকারীরা একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ওসি জানান, তিনি থানার বাইরে আছেন এবং “এসপি স্যারের অনুমোদন না পাওয়ায়” ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, থানায় জমা দেওয়া সেই অভিযোগপত্রটি রহস্যজনকভাবে ফাঁস হয়ে সদ্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগ এর কিছু নেতা কর্মীদের হাতে পৌঁছে গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—একটি সংবেদনশীল অভিযোগপত্র কিভাবে পুলিশের হেফাজত থেকে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের হাতে চলে যায়?

সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে, এ ধরনের দায়িত্বহীনতা, গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে।

এখন দেখার বিষয়—উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর