রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

নির্বাচন ইস্যুতে চীন হস্তক্ষেপ করবে না: রাষ্ট্রদূত

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি এ দেশের জনগণই ঠিক করবে। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীন হস্তক্ষেপ করে না। বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতেও চীন কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।

ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হিসাবে চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সব রকম সহযোগিতা করবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠার সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন। ২০২৬ সাল পরবর্তী বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ যেসব প্রতিবন্ধকতায় পড়তে পারে সেসব ক্ষেত্রেও শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দেবে চীন। বিদেশি ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশকে নিয়ে তারা চিন্তিত নন বলেও রাষ্ট্রদূত ওয়েন জানান। পদ্মা সেতুর পর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন সহায়তা করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন-বাংলাদশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে চীন নাক গলাবে না। চীন আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। তারা উদারভাবে আমাদের সহায়তা দিচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চীন ২৭টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। সেখানে আমরা মাত্র অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। এ পরিকল্পনার ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আমাদের কর্মকর্তাদের সে দেশে পাঠাতে প্রস্তাব দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। অবকাঠামো উন্নয়নে তারা বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে। আরও সহায়তা দিতে প্রস্তুত। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নেও তারা কাজ করছে। মোংলা বন্দর উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। আরও সহায়তা দেবে। এলডিসি উত্তরণের পরও তারা সহায়তা অব্যাহত রাখবে। চীনের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা যায় কিনা সেটি ভেবে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা প্রস্তুত। এখন আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, পদ্মা সেতুর পর পশ্চিমাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চায় চীন। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে চীনা বিনিয়োগকারীদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর