শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

পিরোজপুরে সংগ্রামী সেই মুনিরা পাচ্ছে নৌকা ও পড়ালেখার খরচ

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার হাফসা আকতার মুনিরা শিশু বয়সেই জীবিকার তাগিদে খেয়া পারাপারে জন্য কাঠের বৈঠা তুলে নয় হাতে। প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলে তার জীবন। বাবা মনির হোসেন প্রতিবন্ধী হওয়ায় অল্প বয়েসেই মুনিরাকে সংসারের হাল ধরতে হয়।

মুনিরার জীবন সংগ্রাম নিয়ে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে মুনিরার কঠিন জীবনের গল্প উঠে আসায় তার পা‌শে দাঁড়িয়েছে দেশের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। দেওয়া হচ্ছে জীবন সংগ্রামের সঙ্গী নতুন নৌকা। কঠিন সংগ্রামের মধ্যেও মুনিরা লেখাপড়া ছাড়েনি। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি তার শিক্ষাজীবন চা‌লি‌য়ে নিতে প্র‌য়োজনীয় অর্থও দেবে।

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চরবাসরী গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তার একমাত্র মেয়ে মুনিরা। তাদের বাড়ির পাশেই চিড়াপাড়া খালের খেয়াঘাট। বাবা প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে সংসার চালেতে সেখানেই খেয়া পারাপার করে। মুনিরার দেড় বছর বয়সে তার মা সংসার ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সে বাবা মনির হোসেন এবং ফুফু রোজিনা বেগমের আদর-স্নেহে বড় হয়ে ওঠে।

তবে এত কঠিন সময়ের মধ্যেও পড়ালেখা চালিয়ে গেছে সে। মু‌নিরা এখন কাউখালী আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।

সকালে খেয়া পারাপার শেষে স্কুলে যায় মুনিরা। দুপুরে বাসায় ফিরে সংসারের কাজ করে। এরপর আবার বিকেলে নৌকায় যাত্রী পারাপার করে। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

মুনিরা জানায়, খেয়া পারাপার মেয়েদের কাজ না হলেও করতে হয়। প্রতিবন্ধকতা থাকায় বাবাকে কেউ কাজে নেয় না। অন্য কাজ না জানায় বাবার ভাঙাচোরা নৌকা দিয়ে খেয়া পারাপার করে সংসার চলে। লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করার স্বপ্নের কথাও জানায় সে।

কাউখালী আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, হফসা আকতার মুনিরা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার ভালোই মেধা আছে। সে খেয়া পারাপার করে সংসার চালায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে সহযোগিতা করে আসছে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর