শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রতিবেশীর মেয়েকে খুন করে আলমারিতে রেখে দিলেন নারী

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নরসিংদীর শিবপুরে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুলের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করেছেন প্রতিবেশী এক নারী। হত্যার পর তিনি শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমারির ভেতরে রেখে দেন।

নিখোঁজের সাত ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী হানিফার বাড়ির আলমারির ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারী সেলিনা ও তার রিকশাচালক স্বামী হানিফাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত সায়মা আক্তার শিবপুর উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল থেকে ফিরে দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর সায়মা খেলতে বের হয়। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা সায়মাকে চারপাশে খুঁজতে খুঁজতে পার্শ্ববর্তী হানিফার বাড়িতে যান। সেখানে তার শিশু কন্যা রাইসার কাছে সায়মার খোঁজ জানতে চাইলে সে জানায়- তার মা সেলিনা সায়মাকে মেরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমারির ভেতরে রেখে দিয়েছে। পরে স্বজনরা আশপাশের লোকজন ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত সেলিনার ঘর থেকে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে তাদের গণধোলায় দেওয়া হয়। খবর পেয়ে শিবপুর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার এবং অভিযুক্ত সেলিনাকে আটক করেন।

নিহত সায়মার বাবা সারোয়ার হোসেন বলেন, স্কুল থেকে ফিরে আমার মেয়ে খেলতে বের হয়। তখন তার গলায় একটি চেইন ও কানের দুল ছিল। পার্শ্ববর্তী বাড়ির সেলিনা আমার মেয়ের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি মেয়ে আমাদেরকে বলে দেবে এই কথা বলার পর সেলিনা আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে। মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমারির ভেতরে রেখে দেন। পরে তার শিশু মেয়েই আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়।

শিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, কী কারণে মেয়েটি হত্যা করা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে হত্যার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে হানিফা ও সেলিনার ঘর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর