ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো বুধবার বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তিনি ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। জাকার্তায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

জাকার্তা থেকে এএফপি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া ইসরাইলের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখে না এবং দীর্ঘদিন ধরে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে আসছে।

প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আমি বলেছি, ইন্দোনেশিয়া মনে করে দুই-রাষ্ট্র সমাধান ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা হল সত্যিকারের শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের অধিকার স্বীকার করতে হবে এবং তার নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।’

‘ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা করেছে, যখন ইসরাইল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে, তখন ইন্দোনেশিয়া ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক খুলবে।’

এক যৌথ বিবৃতিতে ফ্রান্স ও ইন্দোনেশিয়া পরস্পরের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছে। তারা আগামী মাসে প্যারিসের সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্মেলন শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনৈতিক সম্ভাবনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে, যা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পরস্পর স্বীকৃতির জন্য অবিচল পথ তৈরি করবে।’

ইন্দোনেশিয়ায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার প্রতি ব্যাপক সমর্থন রয়েছে এবং বিষয়টি প্রায়শই বিক্ষোভের কারণ হয়ে ওঠে।

২০২৩ সালে, ইন্দোনেশিয়াকে অনার-২০ বিশ্বকাপ আয়োজকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, কারণ দেশটির কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিক ইসরাইলকে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করার ডাক দেন এবং তাদের দলকে আতিথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।

বাংলার সংবাদ/এস এম