বাংলাদেশ জুয়েলারি এসোসিয়েশন(বাজুস) মাদারীপুর জেলা শাখা কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন

বাংলাদেশ জুয়েলারী এসোসিয়েশন (বাজুস) মাদারীপুর জেলা শাখা কর্তৃক বুধবার (৪ জুন) সকালে তাদের মাদারীপুর পুরান বাজারস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। উক্ত এসোসিয়েশনের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি বাবু ননী গোপালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেনের আনুষ্ঠানিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় মাদারীপুরে কর্মরত বিভিন্ন টিভি ও প্রিন্টং মিডিয়ার সাংবাদিক সহ উক্ত সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, আমরা মাদারীপুর বাজুস সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সম্পূর্ণরুপে কেন্দ্রীয় বাজুস এর নেতৃবৃন্দের দিক নের্দেশনা ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জুয়েলারী সামগ্রী বা অলংকার তৈরীর কাজ ও বেচাকেনা করে থাকি। এই সংগঠনে আমাদের মাদারীপুর জেলার ৫ টি উপজেলা মিলিয়ে ৪৮০ জন স্বর্ণের দোকানদার মালিক-সদস্য রয়েছেন- যারা সর্বদাই চেষ্টা করেন একই রেটে বাজারমূল্য অনুযায়ী আমাদের মুজুরী নির্ধারণের। অবৈধ পন্থায় স্বর্ণ কেনা-বেচার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ নেই, যদি কারো কাছে কোনো অভিযোগ থাকে বা প্রমাণ পাওয়া যায় তবে আমাদের সংগঠনের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে প্রথমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমনকি তার সদস্যপদ বাতিল করে তাকে করে স্বর্ণব্যবসা থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারও করা হবে। তারা তাদের সদস্যদের উদ্দশ্যে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আরো বলেন, কেউ হলমার্ক ছাড়া কোনো স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন না এবং বাজুসের কেন্দ্রীয় কমিটি যে ৩% মুজরী ধার্য্য করেছে তার বাইরে কোনো ব্যবসায়ী কম বা বেশী মুজুরী নিতে পারবেন না। যদি কেউ তা অমান্য করেন তবে বাজুসের পক্ষ থেকে উক্ত দোকান সিলগালা করে দেয়া হবে।