বেলকুচিতে নয় মাসের মেয়েকে পায়ে পিষে হত্যা, বাবার ফাঁসি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবা বদিউজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১ ধারায় ৭ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার রবিউল ইসলাম সরকার ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বদিউজ্জামান (২৮) সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাঁতী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি মেয়ে থাকার পরও আরেকটি মেয়েসন্তান জন্ম হওয়ায় বদিউজ্জামান অসন্তুষ্ট হন।
এ বিষয় নিয়ে প্রায়ই তিনি তাঁর স্ত্রী ও সদ্যোজাত মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরই জেরে ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বদিউজামানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঝগড়া হয়। সে কারণে বদিউজ্জামান তাঁর ৯ মাসের মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বদিউজ্জামান স্ত্রীর অগোচরে ঘুমন্ত মেয়ে সুমাইয়াকে তুলে পায়ে পিষে হত্যা করে তার মরদেহ বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী সুন্দরী খাতুন বাদী হয়ে বদিউজ্জামানকে আসামি করে বেলকুচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় প্রদান করেন।