বেলকুচি পৌর মেয়রকে কেন বরখাস্ত করা হবে না জানতে চেয়ে দ্বিতীয় দফায় আবারও নোটিশ

রাষ্ট্র বিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে কেন বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে দ্বিতীয় দফায় আবারও নোটিশ দেয়া হয়েছে। বেলকুচি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব ওয়ারেছ কবীর পত্র পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গত ২৪ আগষ্ট তিনি পত্রটি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রটি গত ২২ আগষ্ট প্রেরন করা হয়। পত্র প্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তার ব্যখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা, অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহার পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থি এবং প্রশাসনিক দৃষ্টিকোন থেকে সমীচীন নাহওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২(১) (খ) ও (ঘ) এর অভিযোগে কেন মেয়র পদে বরখাস্ত করা হবে না পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তার ব্যখ্যা প্রদানের জন্য সুত্রোস্থ
স্মারকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু চাহিত কারন দর্শানোর অদ্যাবধি পাওয়া যায়নি।
এমতবস্থায় সুত্রোস্থ স্মারকের চাহিত জবাব জরুরী ভিত্তিতে পত্র প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেলকুচি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব ওয়ারেছ কবীর বলেন, গত ২৪ আগষ্ট দ্বিতীয় দফায় আমরা নোটিশ পেয়েছি। গত ২৯ জুন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত কারন দর্শানোর নোটিশটি পাওয়ার পর আমরা মন্ত্রনালয়ের মেইলে নোটিশের জবাব দেই। এবিষয়ে ডকুমেন্ট আছে। কিন্তু জবাবটি কেন মন্ত্রনালয় কেন পাইনি তা বলতে পারবো না। আমরা বিষয়টি নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছি। ২৪ আগষ্ট দ্বিতীয় দফায় নোটিশ পাওয়ার পর
২৫ আগষ্ট তার জবাব দিয়েছি। ইমেইলেও দেয়া হয়েছে এবং পোষ্ট অফিসের মাধ্যমেও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল রাতে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে পুলিশের এ্যাকশন মুহুর্তের কয়েকটি ছবি পোষ্ট করেন। এবং পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ঢালাও ভাবে মনগড়া মন্তব্য করেন। এঘটনায় ২০ এপ্রিল বেলকুচি থানায় সাধারন ডায়রী করা হয়। পরে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন।
পরপরবর্তীতে পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখা থেকে গত ২৭ এপ্রিল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসককে পত্র প্রেরন করেন। জেলা প্রশাসক গত ১৯ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়ন সচিব বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৯ জুন মেয়রকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে ২২ আগষ্ট মেয়রকে দ্বিতীয় দফায় আবারও কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলো।