শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মায়ের দোয়ায় মোড়ানো এক দূর দেশের যাত্রা সরিষাবাড়ীতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, মৃত সন্তান প্রসব, ধর্ষক গ্রেফতার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরিষাবাড়ি পৌর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতি গণসংযোগ আত্রাইয়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুধী সমাবেশ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার : তৌহিদ সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রতারক আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন নাসিরনগরে দুই কেজি গাঁজা ও মোটর সাইকেল সহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই শিশুকে টঙ্গীতে জবাই করে হত্যা রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক নিহত

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে যোগ হচ্ছে নতুন পথ

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রায় পাঁচ দশক পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্য শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে দুই দেশের মধ্যে। ওইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি রেলপথটি উদ্বোধন করার কথা।

স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ চালু ছিল। এ রেলপথে নতুন করে ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ডুয়েলগেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। রেলপথটির ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে; এতে খরচ ধরা আছে ২৪১ কোটি টাকা। কাজটি করছে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’। প্রকল্পের কাজ দেড় বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারীসহ নানা কারণে সময়মতো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় বাড়ানো এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় গত জুনে।

রেলপথটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করবে। ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বাণিজ্য আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।

সরেজমিন আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ অংশে কাজ প্রায় শেষ। প্রকল্পের অধীনে ১৬টি সেতু ও কালভার্টের কাজও শেষ হয়েছে। আর ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের কারণে কলকাতার সঙ্গে আগরতলার দূরত্ব কমবে প্রায় ১১০০ কিলোমিটার। প্রথমে এই রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। পরবর্তী সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরাও।

আখাউড়া স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রেলপথটি চালু হলে সড়কপথের তুলনায় কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যাবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাইরের অনেক ব্যবসায়ী এই রেলপথে বাণিজ্যে আগ্রহী হবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর