ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন দুই যাত্রী। ভৈরব স্টেশন ছাড়ার পরপরই চারজন ছিনতাইকারী এক যাত্রীর মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করায় মো. জিলানী (৩৫) নামের অপর এক যাত্রীকে পিটিয়ে আহত করে তারা।

আহত জিলানী কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলী গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর সামাজিক সংগঠন ‘ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ’ এর স্বেচ্ছাসেবীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিছুটা সুস্থ হলে আত্মীয়ের সহায়তায় তাকে আরেকটি ট্রেনে গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী ইসহাক সুমন বলেন, “ভৈরব ও আশুগঞ্জ রেলসেতু এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আমাদের কার্যক্রম শুরুর পর তা অনেকটা কমে এসেছিল। তবে গত রাতের ঘটনাটি ভৈরব স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে।”

এদিকে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, “ঘটনাটি ভৈরব এলাকায় ঘটলেও আমরা বিষয়টি জেনেছি। ‘ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ’ টিম প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।”

স্থানীয়রা জানান, ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এটি বন্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির ঘাটতি এবং সুনির্দিষ্ট অভিযান না থাকায় ছিনতাইকারীরা বারবার সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।