মাদারীপুরে এবারের বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ ভয়াবহ আকার ধারণের আশঙ্কা

মাদারীপুরের শহরের সর্বত্র এবং গ্রামাঞ্চলের সব জায়গাতেই এখন মশার উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার কামড়ে অতীষ্ট এখানকার সর্বস্তরের জনগন। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও সর্বত্র সমানতালে মশা কামড়ে দিচ্ছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষজনকে। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার দোকান-পাট, ঘর-বাড়ি সব জায়গাতেই এখন মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মশার কামড়ে কোথায়ও যেনো দু’দন্ড বসার উপায় নেই। দিনের বেলাতেও মশারি টানিয়ে থাকতে হয় নইলে মশার কামড় থেকে নিস্তার মিলছে না। সবচেয়ে বেশী বিপদের মধ্যে রয়েছেন গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ত থাকা নারী-পুরুষ, শিশু ও ফুটপাতে বসবাস করা সহায়-সম্বলহীণ গরীব মানুষগুলো।
গতবছর বর্ষা মৌসুমে জেঙ্গু ভাইরাস বাহিত এডিশ মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন মানুষ মৃত্যবরণ করেছেন। এ বছর বর্ষাকাল তথা ডেঙ্গু মৌসুমে যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সচেতন মহল ও বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন। এডিশ মশার লার্ভা নিধনে স্বাস্থ্য বিভাগ, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন থেকে মাঝে-মধ্যে ঔষধ ছিটানো হলেও তা অপ্রতুল। মশা মারার ঔষধে মশা তেমন না মারা যাওয়ায় লার্ভাসহ এডিশ মশা নিধন হচ্ছে না। সচেতন মহল বলছেন, এখন থেকেই এডিশ মশা ও এর লার্ভা নিধনে কর্তৃপক্ষকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে, জনসচেতনতা তৈরী করতে হবে। পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কার্যকরী মশা মারার ঔষধ উক্ত মশার জন্মগ্রহন স্থানগুলোতে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। নইলে এর প্রকোপ ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে যা আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের জেলা পরিষদ প্রশাসক (উপ-সচিব) হাবিবুল আউয়াল যিনি মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসকেরও দায়িত্ব পালন করছেন- তিনি জানান, ইতিমধ্যে আমরা এডিশ মশা ও এর লার্ভার জন্মস্থানগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছি, মশা ও এর লার্ভা নিধনে আমাদের পর্যাপ্ত ঔষধ মজুদ রয়েছে,মশক নিধনের টিমগুলো কাজ শুরু করেছে যেটা দিনদিন আরো জোরালোভাবে বৃদ্ধি করা হবে। মশা জন্মায় এমন জায়গা, নিজ-নিজ ঘর-বাড়ীর আঙ্গিণা যা’তে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সেজন্য আমরা আমাদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠন, স্থানীয় প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনগনকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক প্রচারণার লক্ষ্য নিয়ে কর্মশালা সহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হবে বা হাতে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। জেঙ্গুজ্বর ও চিকগুনিয়ায় মাদারীপুরের মানুষ যা’তে যথাযথ চিকিৎসা পায় এবং কোনো লোক মারা না যায় সেটাকে আমরা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছি।