যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বেলকুচিতে ৩ ব্যবসায়ীকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও অপর একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবানী সরকার এ আদেশ দেন। অভিযানে বেলকুচি, এনায়েতপুর থানা ও নৌ পুলিশ উপস্থিত ছিল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, পটুয়াখালী জেলা সদরের জৈনকাঠি গ্রামের খলিল আকন্দের ছেলে মো. ইমন আকন্দ (২০), একই জেলার গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে মো. শামীম মোল্লা (২৮) ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কলমির চর গ্রামের আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে মো. আসলাম হাওলাদার (৩১)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার জানান, বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের মেহেরনগর স্কুলের সামনে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল কতিপয় বালু ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অবৈধ বালু উত্তোলন করার দায়ে তিনজনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড ও আরও একজনকে ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।
এরআগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বেলকুচি ও চৌহালীর যমুনা নদীতে ডুবোচরে নিজ খরচে বালু মাটি উত্তোলন ও অবৈধভাবে উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভয়েস কমিউনিকেশন এর স্বত্ত্বাধিকারী জীবন কুমার সাহা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বেলকুচিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ বিষয়ে ভয়েস কমিউনিকেশন এর স্বত্ত্বাধিকারী জীবন কুমার সাহা জানান, আমার নিকট থেকে সরকারি রাজস্ব গ্রহন করে বালু মাটি উত্তোলন করতে না দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে সরকার তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুর রহমান বলেন, বেলকুচি ও চৌহালীর যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঐখানে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ৩ ব্যবসায়ীকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে আরও একজনকে ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যমুনা নদী থেকে যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করবে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।