শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞায় জঙ্গিরা উৎসাহিত হয়েছে

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩

বিশ্বজুড়ে যখন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শেই র‌্যাব সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ এই বাহিনীটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বোধগম্য নয়।’ র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় জঙ্গিরা এখন উৎসাহিত হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। বাংলা ট্রিবিউন।
ভয়েস অব আমেরিকাকে গত ২৯ এপ্রিল দেয়া সাক্ষাৎকারটি গত সোমবার প্রকাশ হয়েছে। সাক্ষাৎকারে র‌্যাবের সংস্কারে বাংলাদেশ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শেই র‌্যাব সৃষ্টি। তাদের ট্রেনিংসহ সব কিছুই আমেরিকার করা। কিন্তু কেন র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো, তা প্রশ্নবিদ্ধ। বাহিনীতে কেউ কোনো ধরনের অপরাধ করলে তাদের সাথে সাথে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়, যা অন্য কোনো দেশে নেই। এমনকি আমেরিকায়ও নেই। তারপরও এ ধরনের ঘোষণা দুঃখজনক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এক প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের স্বামী, সে একটা অপরাধ করেছে, সাথে সাথে তাকে গ্রেফতার ও জেলে দেয়া হয়। সে শাস্তি পেয়েছে। আমরা কিন্তু এভাবেই দেখি।’

র‌্যাবের সংস্কার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে র‌্যাবের ভালো ভূমিকা আছে। র‌্যাবের যেকোনো কর্মকর্তা অপরাধ করুক না কেন, শাস্তির আওতায় আনা হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় সচেতন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে আরো বেশি।’
ইউএনবি জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তার সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় দেশগুলো এবং এর বাইরেও অন্যান্য দেশে কীভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয় তা জানতে অনুরূপ আইনগুলো খতিয়ে দেখছে এবং পরীক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশের আইনটি অনেক সহজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত কেউ যদি মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাকে কি পুরস্কৃত করা উচিত? কোনো সভ্য দেশে এটা করলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়? তিনি বলেন, ‘হাতেনাতে ধরা পড়া সত্ত্বেও, সেই সাংবাদিককে হিরো হিসেবে চিহ্নিত করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘যখন সমগ্র বিশ্ব কোভিড -১৯ এর কারণে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল ছিল এবং আমরা ভ্যাকসিন কেনা নিয়ে আলোচনা করছিলাম; তখন একজন কর্মকর্তা এই ফাইল চোরকে ধরে ফেলেন। সেই ব্যক্তি তখন হিরো হয়ে ওঠে এবং পুরস্কৃত হয়। যদি অন্য কোনো দেশে, উন্নত বা সভ্য দেশে এমনটি ঘটে থাকে তবে তারা কী করত?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু বাংলাদেশে নেই; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেরও এমন আইন রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর